গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে হামাস এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। রমজান শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে সৃষ্ট এই অচলাবস্থার ফলে গাজার অধিবাসীদের দূর্দশা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্সের।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম রয়টার্সকে জানান, দুইদিনের আলোচনা চলাকালে আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম।
এই মুহূর্তে আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি। নেতানিয়াহু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে চান না এবং পুরো বিষয়টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে।কায়রোতে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির আলোচনা বিষয়ে কিছু জানাতে ইসরায়েল রাজী হয়নি।
আলোচনার সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইসরায়েল হামাসের কাছে বন্দীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছিল, যা না পাওয়ায় তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে।
নাইমের মতে, বন্দীরা পুরো গাজাজুড়ে ছড়িয়ে আছে এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে বন্দী আছে। যুদ্ধ থামার আগ পর্যন্ত তাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলো চীন
কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনাকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর পথে সর্বশেষ বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে গাজায় ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, যে সময়কালে হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি বন্দীরা মুক্তি পাবে এবং গাজায় হতাহতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাবে।
সোমবার (৪ মার্চ) ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মিশরের নিরাপত্তা সংস্থা।
এদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব হামাসের সম্মতির অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবীকে আলোচনা ব্যর্থ হলে তার দায় হামাসের ওপর চাপানোর প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
news24bd.tv/ab