পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমেরিকা

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমেরিকা

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস বলেছে, দুই দেশের স্বার্থ–সংশ্লিষ্ট বিষয় এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলেছে, গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার পাকিস্তান প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারী সম্পর্কেক গুরুত্ব দেই।

পাকিস্তানে সব সময়ের জন্য একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকা আমেরিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পাকিস্তানের নতনু প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তাঁর সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বমূলক কাজ করতে জোর দেবে আমেরিকা। ’

ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে শাহবাজ শরিফ দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ম্যাথিউ মিলার এসব মন্তব্য করেন।

গতকাল সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শাহবাজ শরিফ।

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৬ মাস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

একই সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম নওয়াজকেও অভিনন্দন জানান ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন মরিয়ম। এটি পাকিস্তানের রাজনীতিতে রীতিমতো মাইলফলক। ’ 

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পাঞ্জাবের একটি আসন থেকে জয়ী হন মরিয়ম নওয়াজ। এরপর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে পিএমএল-এন থেকে মরিয়মকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন শাহবাজ শরিফ। এ সময় বিরোধী শিবিরের এমপিরা ‘চোর’ বলে স্লোগান দেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, পার্লামেন্টে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ পেয়েছেন ২০১ ভোট। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট। প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ী হতে ৩৩৬ আসনের পরিষদে যেকোনো প্রার্থীকে অন্তত ১৬৯টি ভোট পেতে হয়।

news24bd.tv/aa