হোলি আর্টিজান থেকে হোটেল ওলি: অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা

হোলি আর্টিজানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান

জঙ্গি দমন

হোলি আর্টিজান থেকে হোটেল ওলি: অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা

মো. ইস্রাফিল আলম

দিনটি ছিল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে পরিকল্পিতভাবে বোমা হামলা চালায় জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় ৫০০ পয়েন্টে দুজন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন। সিরিজ বোমা হামলার সেই ঘটনায় এখনো আঁতকে উঠি আমরা।

এর ১১ বছর পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। এর বাইরেও ছোটখাটো অনেক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে দেশে। স্বাধীনতার পর জঙ্গি উত্থান নিয়ে সংকটময় এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে দেশ।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অবরোধের নামে নাশকতা চালায়। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালজুড়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যযুগীয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডবলীলা দেখে দেশবাসী। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে চলন্ত বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারে। পশু পুড়িয়েয়েছে। রাস্তার গাছ ফেলে মধ্যযুগীয় কায়দায় কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। এমনকি একজন জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঘোষণার পর সারা দেশে সহিংসতা চালানো হয়। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করতে গিয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনিপুণ পরিচালনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করা হয়।  

বেশি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশ। জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি বাড়িয়ে তোলে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতের দোসররা। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে থাকে দেশে। দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে দেশে ঘটে গেল বিভীষিকাময় এক ঘটনা। একেবারেই সিনেমাটিক। নির্মম ও নৃশংস। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। বাঙালি জাতি পুরোটাই ছিল হতবাক ও স্তম্ভিত। রাজধানীর বনানীতে হোলি আর্টিজান বেকারিত হামলা করে ২২ জনকে হত্যা করা হলো। যার নেপথ্যে ছিল সরকারবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি।  

মূলত এ ঘটনার পর জঙ্গি দমনে কিংবা সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও প্রসার আরও বাড়ায় সরকার। প্রতিষ্ঠা করা হয় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে ব্যয় বাড়ায় সরকার। এক পর্যায়ে তাদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়।

জঙ্গি দমনে অভিযান

হোলি আর্টিজান হামলা 

জঙ্গিবাদের ইতিহাসে হোলি আর্টিজানের হামলা ছিল নজিরবিহীন। জঙ্গিরা তাদের সাংগঠনিক শক্তিমত্তা জানান দেওয়ার জন্যই এ হামলা চালায়। ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে তারা। এর আগে এত বড় মাপের জঙ্গি হামলা কখনো হয়নি। এ হামলার আগে অর্থাৎ পুরো ২০১৫ সাল এবং ২০১৬ সালের প্রথম কয়েক মাসে বিভিন্ন ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছিল যে, বাংলাদেশে যেকোনো সময় বড় মাপের একটি জঙ্গি হামলা হতে পারে। ২০১৫ সালে একের পর এক লেখক, ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার সময় নিরাপত্তা-বিশ্লেষকরা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন যে, জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারই ইঙ্গিতস্বরূপ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাবেলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। তখন থেকে অনেকেই আঁচ করছিলেন যে, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা হুমকির মুখে। কিন্তু তাদের সেই ভয়াল থাবা থেকে দেশকে মুক্ত এবং বিদেশি নাগরিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা সরকার।  

ইতিহাসের ভয়াবহ এ হামলায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ খুলে দিয়েছে। জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানের নক্সা নতুন করে সাজায় বাংলাদেশের পুলিশ। জঙ্গিবাদবিরোধী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়। এর পাশাপাশি পুলিশ সদর দফতরে একটি আলাদা গোয়েন্দা শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যাদের কাজ জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে নজরদারি করা।

হোলি আর্টিজানে এই হামলার পর প্রায় দুই হাজার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারাও বলছেন, হলি আর্টিজানের পরে বাংলাদেশে যত জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে সেগুলো সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। জঙ্গিরা যাতে সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।

জঙ্গি দমনে ও জিম্মি ঘটনা অবসানের জন্য পরিচালনা করা হয় থান্ডারবোল্ট অপারেশন। অভিযানে অংশ নেয় সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সহস্রাধিক সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সফলতার সঙ্গে জঙ্গিদের দমন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া

হোলি আর্টিজানের হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই সে বছর ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা এবং গোলাগুলিতে দুই কনস্টেবলসহ চারজন নিহত হন। হামলার দিনই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আবীর রহমান নামে নব্য জেএমবির এক সদস্য। আহত অবস্থায় গ্রেফতার হয় শফিউল নামে আরেক জঙ্গি। এরপর দেশব্যাপী শুরু হয় জঙ্গিবিরোধী অভিযান। জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড, অস্ত্রদাতা, অর্থদাতা, প্রশিক্ষণ-প্রশিক্ষক ও জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাদের শনাক্ত করা হয়। তদন্তে উঠে আসে নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ানো উগ্রপন্থী সংগঠন নব্য জেএমবি।  

কল্যাণপুরে অপারেশন স্টর্ম-২৬ 

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের একটি জঙ্গি আস্তানার সংবাদ পায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সেখানে চলে ‘অপারেশন স্টর্ম’। এতে নিহত হয় ৯ জঙ্গি।  

নারায়ণগঞ্জে অপারেশন হিটস্ট্রং-২৭

২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ওই অভিযানে নিহত হয় নব্য জেএমবি নেতা ও গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহম্মেদ চৌধুরী। এ সময় তামিমের সঙ্গে মারা যায় তার আর দুই সহযোগী।

রূপনগরের আস্তানায় হামলা

একই বছর ২ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট অভিযান চালায় মিরপুরের রূপনগরে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয় জাহিদুল ইসলাম নামে অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় অংশগ্রহণকারীদের তিনি গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেন। নারায়ণগঞ্জে তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর নব্য জেএমবিতে তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল মুরাদ ওরফে মেজর মুরাদ ওরফে জাহিদুলের।

আজিমপুরে আস্তানায় হামলা

১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখানে নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা ও আশ্রয়দাতা তানভীর কাদেরী নিহত হয়। সেখান থেকে আটক করা হয় তিন নারী জঙ্গি ও তানভীরের ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে।

গাজীপুরে অপারেশন ‘স্পেইট-এইট’

২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর জঙ্গি দমনে পুলিশ ও র্যাব গাজীপুর, আশুলিয়া ও টাঙ্গাইলের চার আস্তানায় অভিযান চালায়। গাজীপুরে পৃথক দুই অভিযানে ৯ জঙ্গি, টাঙ্গাইলে দুই জঙ্গি এবং আশুলিয়ায় নিহত হয় জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা।

আশকোনা অপারেশন ‘রিপল ২৪’ 

২০১৬ সালের শেষদিকে ২৪ ডিসেম্বর আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় প্রায় ১২ ঘণ্টার পুলিশি অভিযানে জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলেসহ দুজন নিহত হন। আহত অবস্থায় এক শিশুকে উদ্ধারের পাশাপাশি আত্মসমর্পণ করে নিহত আরেক জঙ্গিনেতা জাহিদুল ইসলামের স্ত্রীসহ চারজন। সমাপ্তি শেষে অভিযানটির নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন রিপল-২৪’। ওই বাড়িতে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণে’ নিহত দুজনের একজন হলেন জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আফিফ কাদেরী আদর (১৪)। নিহত অন্যজন জঙ্গিনেতা সুমনের স্ত্রী শাকিরা।

অপারেশন ‘অ্যাসল্ট ১৬’ 

২০১৭ সালের ১৭ মার্চ প্রথম জঙ্গি আস্তানায় এ ধরনের প্রথম অভিযান পরিচালনা করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৫ মার্চ সন্ধান পাওয়া এ আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিহত হয় ৪ জঙ্গি। আস্তানায় আটকে পড়া ১৮ জনকে নিরাপদে বের করে আনে অভিযানে অংশ নেওয়া সোয়াতের সদস্যরা।

অপারেশন টোয়াইলাইট

সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে ‘২৫ মার্চ অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো টিমের সদস্যরা। প্রথমে এ অভিযান সোয়ট শুরু করলে তার নাম দেওয়া হয় স্প্রিং রেইন। এ অভিযানে নিহত হয় নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা মাইনুল ওরফে মুসা। ভয়াবহ এ অভিযানে পুলিশ কর্মকর্তা, র্যাবের তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান আবুল কালাম আজাদসহ ৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া মুসাসহ তিন নারী জঙ্গি নিহত হয়।

অপারেশন ম্যাক্সিমাস

মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াতের অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। অভিযানে তিন জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী রয়েছে।  

অপারেশন সানডেভিল 

রাজশাহীর গোদাগাড়ির নির্জন গ্রাম হাবাসপুরে ২০১৭ সালের ১১ মে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম। অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সানডেভিল। এ অভিযানে আবদুল মতিন নামের ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে তেড়ে এসে কুপিয়ে হত্যা করে এক নারী জঙ্গি। তার হুঙ্কারের ভিডিও দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ওই নারীসহ ৪ জঙ্গি নিহত হয়।  

অপারেশন আগস্ট বাইট 

২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিতে অবস্থান নেয় এক সাইফুল ইসলাম নামের এক জঙ্গি। উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মিছিল-সমাবেশের এরপর বোমা নিক্ষেপ করা। কিন্তু এর আগেই কাউন্টার টেররিজম সংবাদ পেয়ে তা ঘিরে ফেলে। পরবর্তী সময়ে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে সে তার নিজের কাছে থাকা বোমায় আত্মঘাতী হয়। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন আগস্ট বাইট।  

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর ঢাকার কল্যাণপুর, রূপনগর, আজিমপুর, আশকোনা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সিলেট এবং রাজশাহীতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও এলিট ফোর্স র্যাব। এসব অভিযানে ‘নব্য জেএমবির’ শীর্ষনেতা তামিম চৌধুরীসহ নিহত হয় অর্ধশতাধিক জঙ্গি সদস্য।  

তবে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি এবং গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে এতে সফল হয়ে উঠতে পারিনি জঙ্গি সংগঠনগুলো। বর্তমানে দেশে জঙ্গিদের আগের সেই অবস্থান নেই। মাঝেমধ্যে অনলাইনকেন্দ্রিক সরব হওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির কারণে তারা গ্রেপ্তার হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা, দূরদর্শিতা আর সঠিক নেতৃত্বগুণের জন্য আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন রাজনীতিবিদ। দেশ পরিচালনায় তিনি সাহস ও কর্মদক্ষতায় অনন্য। আর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বিশ্ব  শান্তির দূত ও মানবপ্রেমী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ জঙ্গিমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম