হ্যারি কেইনের জোড়া গোল, কোয়ার্টারে পা রাখলো বায়ার্ন

গোলের পর উদযাপন করছেন বায়ার্ন মিউনিখের ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন (সংগৃহীত ছবি)

হ্যারি কেইনের জোড়া গোল, কোয়ার্টারে পা রাখলো বায়ার্ন

অনলাইন ডেস্ক

ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন নিজের চমকটা ঠিকই দেখালেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগে লাৎসিওর বিপক্ষে জোড়া গোল করে ৩-০ গোলের ব্যবধানে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করেছে কেইন। পাশাপাশি বায়ার্নও উঠে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে।

প্রথম লেগের ম্যাচে গোল তো দূরে থাক, একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কেইন।

দ্বিতীয় লেগেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম আধা ঘণ্টার খেলায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বলের নাগাল সবচেয়ে কম পেলেন তিনিই মাত্র ৭ বাল পায়ে বলের দেখা পেয়েছেন।

শুরুটা এমন বাজে হলেও রাতটা শেষ পর্যন্ত হ্যারি কেইনের নৈপুণ্যে বায়ার্ন নিশ্চিত করে তাদের জয়। অপর গোলটি করেন টমাস মুলার।

প্রথম লেগের পর ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও লাৎসিও হেরেছে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে।

বুন্দেসলিগায় বেকায়দায় থাকা (লেভারকুনেসের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পেছনে) বায়ার্ন দুই সপ্তাহ আগে লাৎসিওর মাঠে প্রথম লেগ হেরেছিল ১-০ ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাস বলছিল, নকআউটে প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকা শেষ সাতবারের কোনোটিতেই পরের ধাপে যেতে পারেনি বায়ার্ন।

ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টায় দল হিসেবে বায়ার্নই খুব একটা যে ছন্দে ছিলো তা নয়। যদিও লাৎসিও রক্ষণে বারবারই হানা দিচ্ছিলেন কেইন-মুলার-মুসিয়ালারা।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্নের প্রথম গোলটি আসে ৩৮ মিনিটে। মুলারের হেডে বাড়ানো বল রাফায়েল গেরেইরো নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে পেয়ে যান কেইন। মাথা খানিকটা ঝুঁকিয়ে হেডে বল জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক।

বিরতির আগে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। মাথিয়াস ডি লিটের ভলি জালের পথে থাকলেও সামনে থাকা মুলার হেডে গোল নিশ্চিত করেন। মূলত, এই গোলের পরই এক প্রকার গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠে বায়ার্ন। যার প্রতিফলন দেখা যায় দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়। বিরতির পর বায়ার্ন একটি গোল পেলেও তবে লাৎসিও একটি শটও টার্গেটে রাখতে পারেনি।

বায়ার্নের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বল জালে জড়ান কেইন। ৬৬ মিনিটে লেরয় সানের শট লাৎসিও গোলকিপার প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সামনে থাকা কেইন সহজেই বল জালে জড়ান।

এটি চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে কেইনের ষষ্ঠ গোল। সব মিলিয়ে তার ২৭তম গোল। আর বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে ৩৩ গোল হলো তাঁর। ছাড়িয়ে গেছেন গত মৌসুমে টটেনহামের হয়ে ৪৯ ম্যাচে করা ৩২ গোলকে।

যদিও ব্যক্তিগত রেকর্ডের চেয়ে দলীয় অর্জনেই বেশি খুশি কেইন। নকআউটে প্রথম লেগ হারলেও দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত জয় নিশ্চিত করলো বায়ার্ন। এরকম সমান সংখ্যক সাফল্য আছে শুধুমাত্র বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও চেলসির।

news24bd.tv/SC