সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (৪ মার্চ) স্পেনের এক নারী নিজের ১১৭তম জন্মদিন উৎযাপন করেছেন। তার নাম মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। তিনি ১৯০৭ সালের ৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে স্পেনে চলে আসেন। বিগত ২৩ বছর ধরে তিনি রেসিডেন্সিয়া সান্তা মারিয়া দেল তুরা নার্সিংহোমে বসবাস করছেন।
পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষের আয়ু নিয়ে সবসময়ই উৎসাহ-উদ্দীপনা লেগেই রয়েছে। তার মধ্যে কেউ যদি ১০০ বছর আয়ু পান তাহলে সেটাকে বিশাল আয়ু হিসেবে ধরা হয়।
যেমন ধরা হয়, জাপানের মানুষরা বেশি আয়ু পান। যেমন কানে তানাকা নামক এক নারী ১১৯ বছর বেঁচে ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখিয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত নারী হিসেবে।
আবার ইউরোপের ছোট্ট একটি দেশ মোনাকো। ২০২৩ সালের স্ট্যাটিস্টার এক রিপোর্টে দেখা গেছে, মোনাকোর পুরুষরা গড়ে ৮৪ বছর এবং নারীরা গড়ে ৮৯ বছর আয়ু পান। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সূচক হিসেব করা হয়।
পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, ম্যাকাও, এবং জাপানের মানুষদের মধ্যে পুরুষ এবং নারীরা গড়ে ৮১ এবং ৮৭ বছর বেঁচে থাকেন।
যদিও মারিয়ার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষ এখনো জীবিত আছে বলে অনেকেই দাবি করে থাকেন। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (জিডব্লিউআর) বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী হিসেবে মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরাকে স্বীকৃতি দেয়।
মোরেরার আগে একজন ফরাসি নারী এই রেকর্ড দখল করেছিলেন। লুসিল র্যানডন নামক ওই নারী ১১৮ বছর জীবিত ছিলেন।
এদিকে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে মারিয়া হচ্ছে তালিকার হিসেবে বিশ্বের ১২তম সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি। আগামী বছর যদি তিনি তার জন্মদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাহলে, এই তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে আসবেন তিনি।
news24bd.tv/SC