পেঁয়াজের বীজ চাষে লাভের স্বপ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের

খেতে পেঁয়াজ বীজের ফুল - নিউজ টোয়েন্টিফোর

পেঁয়াজের বীজ চাষে লাভের স্বপ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

‘কালো সোনা’খ্যাত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও বীজ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষক। আর কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় ২৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের আশা করছে তারা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মেলে সাদা রঙের ফুলে ছেয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বীজের খেত।

এসব খেত করে শুধু কৃষকেরাই লাভবান হননি, স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চাষিরা বলছেন, পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। পরাগায়ন হয়ে থাকে মূলত মৌমাছির মাধ্যমে। তবে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বীজের খেতে মৌমাছির আনাগোনা কমেছে।

পেঁয়াজের বীজ চাষ করে বড় সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাড়োল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফলন ভালো হওয়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অন্য কৃষকরাও।

পেঁয়াজ খেতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন তারা। কারও কারও মিটছে পড়ালেখার খরচও।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ হলে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক