শেষ হলো জেলা প্রশাসক সম্মেলন

জেলা প্রশাসকদের ১২০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চারদিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন।

শেষ হলো জেলা প্রশাসক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা প্রশাসকদের ১২০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চারদিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, পরিকল্পনা  এবং ভুমি মন্ত্রনালয়ের কাছে জেলা প্রশাসকদের দাবি ছিল সবচেয়ে বেশি।

এবারের সম্মেলনে মাঠ পর্যায় থেকে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানোর অনুমোদন পেয়েছেন ডিসিরা। আর স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তদারকি জোরদার করার কঠোর নির্দেশনা ছিল মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে।

পাশাপাশি, বরাদ্দ দেয়া অর্থের যথাযথ খরচের বিষয়টিও স্থান পায় আলোচনায়।

জনবান্ধব প্রশাসন, সেবার মান বাড়ানো, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের বাজার আর জনবান্ধব প্রকল্প তদারকির তাগিদ দিয়ে শেষ হয়েছে চারদিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। সম্মেলনে মাঠ পর্যায় থেকে যেমন কিছু সংস্কার প্রস্তাব এসেছে তেমনি জেলা প্রশাসকদের জন্য দেওয়া হয়েছে কিছু নির্দেশনা।

স্বরাষ্ট্র, পরিকল্পনা, অর্থ, স্থানীয় সরকার এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের জন্য বেশী প্রস্তাব রেখে এবার জেলা প্রশাসকরা মোট ১২০টি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন সুপারিশ আকারে, যা নিয়ে গত চারদিন ৪২টি মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন: পুতিনবিরোধী প্রতিবাদে সামিল হতে দেশবাসীর প্রতি নাভালনির স্ত্রীর আহ্বান

শেষদিনের সম্মেলনের শুরুতেই জেলা প্রশাসকদের সাথে বৈঠক করেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এ সময় খাস জমি ইজারায় অনিয়মের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বলেন ভূমিমন্ত্রী। এছাড়া, ভূমি সংক্রান্ত কাজে মানুষের হয়রানি বন্ধের তাগিদও দেন মন্ত্রী।

পরের সেশন ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে। এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন। গতবার ঢাকার বাইরে বেশী ডেঙ্গু রোগী হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,  মন্ত্রণালয় থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য যে ৪০ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সাথে বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দুর্গম এলাকার মানুষের জীবনযাপন সহজ করার উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন জেলা প্রশাসকরা।

news24bd.tv/ab