যেমন ছিলো জাহিলিয়তের যুগে রোজা 

যেমন ছিলো জাহিলিয়তের যুগে রোজা 

যেমন ছিলো জাহিলিয়তের যুগে রোজা 

অনলাইন ডেস্ক

হযরত আয়েশা রাজিয়াল্লাহু তাআলা আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (মক্কার কুরাইশরা জাহিলিয়ত যুগে) রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার দিন রোজা রাখতো। আর এই দিনে পবিত্র কাবা শরিফে নতুন গিলাফ পরানো হতো। যখন আল্লাহ তাআলা রমজানের রোজা ফরজ করলেন তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন রোজা রাখা বা না রাখার বিষয়টি উম্মতের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেন।

(বুখারি শরিফ: হাদিস- ১৫১৫)

হযরত ইবনে আব্বাস রাজিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করেন, তখন মদিনার ইহুদিদেরকে আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন।  
 
হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে এই দিনে রোজা রাখার কারণ জানতে চান। (উত্তরে) তারা বললো, এই দিনটি কল্যাণকর।

এই দিনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাঈলকে তাদের শত্রু ফেরাউন বাহিনী থেকে মুক্তি দান করেছিলেন। তাই হজরত মুসা আলাইহিস সালাম রোজা রেখেছিলেন। (তাই আমরাও রোজা রাখি) (বুখারি শরিফ: হাদিস- ১৯০০)

উক্ত আয়াত ও হাদিস দ্বারা আমাদের পূর্ববর্তী ইম্মতের উপরও রোজা ফরজ হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। ‘তাফসিরে খাজিন’ এর ভাষ্যমতে আয়াতের كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ উক্ত অংশ দ্বারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে নিয়ে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সকল নবি ও তাদের উম্মত উদ্দেশ্য। তবে তাঁদের রোজা রাখার নিয়ম আমাদের নিয়মের ব্যতিক্রম ছিলো। মোটকথা রোজা হলো অনেক পুরোনো একটি ইবাদত। কারণ, ইতিপূর্বে এমন কোনো উম্মত অতিবাহিত হয়নি যাদের উপর তিনি রোজা ফরজ করেননি। (তাফসিরে খাজিন: খ. ১, পৃ. ১১৯)
 
তাফসিরে আজিজির মধ্যে তাদের রোজা রাখার বিষয়ে কিছু আলোচনা এসেছে। হযরত আদম আলাইহিস সালাম প্রতিমাসে চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখে ৩ টি রোজা রাখতেন যা ফরজ ছিলো। আমাদের শরিয়তে উক্ত তিন দিনের রোজাকে ‘আইয়ামে বিজ’ এর রোজা বলা হয়। যা আমাদের শরিয়তে নফল রোজা হিসাবে চলে আসছে।

হযরত মুসা আলাইহিস সালামের অনুসারী ইহুদিরা মুহাররম মাসের ১০ তারিখ আশুরার রোজা ফরজ হিসাবে পালন করে থাকে। সেই সাথে তাদের সাপ্তাহিক বরকতের দিন শনিবারেও রোজা ফরজ হিসাবে পালন করে থাকে।  
 
এছাড়াও আরো বিশেষ বিশেষ কিছু দিনেও তারা ফরজ হিসাবে রোজা পালন করতো। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসারী নাসারাদের উপর রমজান মাসের রোজা ফরজ ছিলো। (তাফসিরে আজিজি: খ. ১, পৃ. ৭৭১)

news24bd.tv/aa