সিঙ্গেল থাকতে চান চীনের নারীরা

ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার চাই ওয়ানরু মনে করেন বিয়ে একটি অযৌক্তিক প্রতিষ্ঠান।

সিঙ্গেল থাকতে চান চীনের নারীরা

অনলাইন ডেস্ক

ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার চাই ওয়ানরু মনে করেন বিয়ে একটি অযৌক্তিক প্রতিষ্ঠান। অন্য অনেক চাইনিজ নারীর মতোই তিনিও তার জীবনে কোনো স্বামী কিংবা সন্তান চান না, যা চীন সরকারের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রয়টার্সকে চাই জানান, আপনি সফল হন কিংবা সাধারণ, বাড়িতে নারীকেই সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমাদের আগের প্রজন্মের যেসকল নারী বিয়ে করেছেন তারা পরিবারের জন্য নিজেদের পেশাগত জীবনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যে সুখী জীবনের স্বপ্ন তারা দেখেছিলেন তার দেখা তারা পাননি।

নিজের মতো করে বাঁচা খুবই কঠিন আজকের দিনে।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এবং নতুন শিশু জন্ম নেয়ার হার ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিয়ে এবং সন্তান প্রতিপালনের এক নতুন সংস্কৃতি সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংও একটি সন্তান জন্মদানের উপযোগী সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং এই বছরের সরকারি কাজের রিপোর্টে সন্তান পরিচর্যাকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলো চীন

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি একক পরিবারকে সামাজিক স্থিরতার চালিকাশক্তি বলে মনে করে। দেশটিতে অবিবাহিত মায়েদেরকে কটু চোখে দেখা হয় এবং সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এরপরেও অর্থনৈতিক অধোগতি এবং তরুণদের মাঝে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় অসংখ্য নারী সিঙ্গেল থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

২০২১ সালে চীনে ১৫ বছরের বেশি বয়সী সিঙ্গেল জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ছিল ২৩৯ মিলিয়ন। গত বছর বিয়ের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এক জরিপে চীনের ৪৪ শতাংশ নারী বিয়ে করতে চান না বলে জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী চাইনিজ নারীবাদী কর্মী লু পিনের মতে, চীনে নারীবাদী কার্যক্রমের অনুমতি না থাকলেও বিয়ে না করা ও সন্তান জন্ম না দেয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চীনের নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে একটি অহিংস প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক