মরা মুরগি দিয়ে চলছে হোটেল-রেস্তোরাঁ! [ভিডিও]

হোটেল- রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগির মাংস

মরা মুরগি দিয়ে চলছে হোটেল-রেস্তোরাঁ! [ভিডিও]

ফখরুল ইসলাম

আপনার প্লেটের মুরগির মাংসের টুকরোটা কি মরা মুরগির? প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে যাবেন না, এমনও তো হতে পারে এই মাংস জবাইয়ের আগেই মরে যাওয়া মুরগির। কারণ, রাজধানীর কিছু হোটেল ও মেস বাড়িতে একটি অসাধু চক্র সাপ্লাই দেয়, এমনই মরা মুরগির মাংস। আর না জেনে সেগুলো খায় হাজারো মানুষ। নিউজ টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্যই উঠে এসেছে।

ব্যস্ত জীবনে তিন বেলা বাড়ির রান্না খাওয়ার সুযোগ নগরবাসীর হয় না বললে চলে। এক্ষেত্রে হোটেল-রেস্তোরাঁই ভরসা। অনেকে আবার তিন বেলাই রেস্তোরাঁর ওপর নির্ভরশীল। সেখানে আপনার প্লেটে তুলে দেওয়া হচ্ছে মরা মুরগির রোস্ট বা ভুনা মাংস।

যদিও প্লেটে তুলে দেওয়া মাংস মরা মুরগির কিনা তা হয়ত রেস্তোরাঁয় খেতে বসে আপনার পক্ষে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু, একবারও কি ভেবেছেন রাজধানীতে প্রতিদিন যে মুরগিগুলো মারা যায় সেগুলো কোথায় যায়? ডাস্টবিনে তো তা কখনো দেখা যায় না! তাহলে কি কোন মুরগি মারা যায় না?

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে মারা যাওয়া মুরগিগুলো সস্তা দামে কিনে নিচ্ছে হোটেল ও রোস্তারাঁগুলো। পরে রান্না করে তা পরিবেশন করা হচ্ছে ভোক্তাদের খাবার টেবিলে। আর এ কাজে জড়িত রয়েছে কিছু অসাধু চক্র, যারা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এই মরা মুরগিগুলো সরবরাহ করছে। অনেকক্ষেত্রে হোটেল কর্তৃপক্ষই জানে না যে, ড্রেসিং করে আনা মাংসগুলো মরা মুরগির। আবার কেউ কেউ জেনেশুনেই বেশি লাভের জন্য কম দামে এই মাংস কিনছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরা মুরগির মাংসে মারাত্মক রোগব্যাধী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  কারণ, এ মুরগিগুলো নানা রোগের কারণেই মারা যায়।

এছাড়া ধর্মীয়ভাবেও মরা পশুর মাংস খাওয়া অনুমোদিত নয়।

নুর আলম ও ইব্রাহিম আজনবীর ক্যামেরায় বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে:

সম্পর্কিত খবর