বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনের চেষ্টা করেছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতার জন্য রাজনৈতিক সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশটা স্বাধীন করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, ‘১৯৬২ সালেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি যে সশস্ত্র বিপ্লবের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তখন তা পাকিস্তান বুঝতে পারেনি। এরপরও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ’
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ওদের সাথে আর থাকব না। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা পেশ করেন, তখন পাকিস্তানিরা উত্থাপনই করতে দেবে না। তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এয়ারপোর্টে প্রথম ছয় দফার তথ্য দেন। এরপর প্রেস কনফারেন্স করেন। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে, সেটা পাস করান। ৫৩ দিনে ৫২টা সভা করেছিলেন। ছয় দফার মধ্যে একদফা ছিল স্বাধীনতা। ’
এর আগে, দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্ব ঐতিহ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে সেই সময় মানুষকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। এটি তিনি (বঙ্গবন্ধু) কাউকে বলেননি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন।
news24bd.tv/DHL
