ঠাকুরগাঁও জেলা ইটভাটা সমিতির হিসাব অনুযায়ী ঠাকুরগাঁওয়ে মোট ইটভাটা রয়েছে ১০৬টি। বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, যেখানে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও এখনো দৃশ্যমান হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার গড়েয়া, রুহিয়া, জগন্নাথপুর, আকচা, মোহাম্মদপুর, রহমানপুর, ভুল্লি ও বেগুনবাড়িসহ প্রায় সব ইউনিয়নের ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাছাড়া অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদিত চিমনি নেই। একই সঙ্গে ফসলি জমিতে গড়ে তোলা বিভিন্ন ইটভাটায় ওই জমিরই মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইটভাটার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটা মালিকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ও আবাসিক এলাকায়ও ইটভাটা স্থাপন করেছেন। এসব ভাটায় ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। তাছাড়া ভাটা মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৈরিকৃত ইটের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। ফলে পরিবেশের তো ক্ষতি হচ্ছেই অন্যদিকে ইটের দামে ঠকছেন গ্রাহকরাও। দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চললেও প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিকে সদর উপজেলার কৃষক মেহেদি হাসান জানান, এ জেলায় যতোগুলি ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর নেই কোন পরিবেশ ছাড়পত্র। ব্যাঙয়ের ছাতার মতো ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ভাটা। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে দিন দিন গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ ইটভাটা।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, শিগগিরই এ জেলায়ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
news24bd.tv/SC