আখেরাতের জীবন পবিত্র কোরআনের একটি মৌলিক আলোচ্য বিষয়। আখেরাত বলতে মৃত্যুপরবর্তী অনন্তকালের জীবনকে বোঝায়। মানুষের মৃত্যু, কবর, কিয়ামত, হাশর, হিসাব, জান্নাত-জাহান্নামের মতো সব বিষয়ে এর অন্তর্ভুক্ত। মানুষের সৃষ্টি ও জীবনের উদ্দেশ্যের সাথে আখেরাত গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের কৃতকর্ম ও কর্মফলের সাথেও আখেরাত সম্পর্কিত। মানুষের পরিণাম সম্পর্কে কোরআনে খুব গভীরভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অনিবার্য মৃত্যুর কথা তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিদান কেবল কেয়ামতের দিনই দেওয়া হবে। অতঃপর যাকেই জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে, সেই প্রকৃত অর্থে সফলকাম হবে আর জান্নাতের বিপরীতে এই...
পবিত্র কোরআনে পরকালের জীবন
আবদুর রহমান তাশরীফ
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্বের প্রকৃতি
আলেমা হাবিবা আক্তার
মহান আল্লাহ মহানবী (সা.)-এর মধ্যে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভূর্ব সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। তিনি যেমন একদিকে ছিলেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক, তেমন অন্যদিকে ছিলেন মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রই এক সময় বিকশিত হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র-কাঠামোয় পরিণত হয়। এছাড়াও নবুওয়াত লাভের আগে তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন যাবত মক্কায় পবিত্র কাবার রক্ষণা-বেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মক্কার অন্যতম নেতৃস্থানীয় পরিবার মনে করা হতো তাঁর পরিবারকে। এখন প্রশ্ন হলো, নবীজি (সা.) কি বাদশাহ ছিলেন? তাঁকে সমকালীন অন্য পাঁচজন শাসকের মতোই একজন শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে? নাকি তাঁর পবিত্র নেতৃত্ব ছিল ভিন্ন প্রকৃতির? রাসুলুল্লাহ (সা.) বাদশাহ ছিলেন না প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোনো সন্দেহ নেই সমকালীন আরব ও মুসলিম সমাজে নবীজি (সা.)-এর প্রশ্নাতীত...
সিরিয়া প্রসঙ্গে নবীজির ঐতিহাসিক দশ বার্তা
মুফতি ইবরাহিম সুলতান
আজকের সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও পূর্ণ ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে প্রাচীনকালে মুলকে শাম বলা হতো। শাম মূলত নবী-রাসুলদের ভূখণ্ড। কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় এর ফজিলতের কথা এসেছে। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যাদেরকে দুর্বল মনে করা হত তাদেরকেও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এর বরকত সম্পর্কে বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনকারী। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ১) সকল মুফাসসিরীনে কেরাম একমত, উল্লেখিত আয়াতে পবিত্র ভূমি এবং বরকতময় ভূমি দ্বারা...
কুসংস্কার পরিহার করা জরুরি
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মহানবী (সা.) আমাদের সব ধরনের পাপ, অকল্যাণ ও গর্হিত কাজ থেকে সতর্ক করেছেন, যেন আমরা সেই অকল্যাণে পতিত না হই এবং আল্লাহ তাআলার ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকতে পারি। এমনই এক গর্হিত কাজ হলো, ইসলামপূর্ব যুগের কুসংস্কারে লিপ্ত হওয়া। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত। ১. যে ব্যক্তি হারাম শরিফে অন্যায় ও অপকর্মে লিপ্ত হয়। ২. যে ব্যক্তি ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগের রেওয়াজ-প্রথার অনুসরণ করে। ৩. যে ব্যক্তি বিনা অপরাধে কেবল খুনখারাবির উদ্দেশ্যে কোনো মুসলমানের রক্তপাত কামনা করে। (বুখারি, হাদিস: ৬৭৮২) কুসংস্কার কুপ্রথার অনুসরণ করা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর কোনো কোনোটার বিশ্বাস মানুষকে কুফর পর্যন্ত নিয়ে যায়। তাই প্রতিটি মুসলমানকে এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর