সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি, থানায় মামলা

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি, থানায় মামলা

অনলাইন ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাড. মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট  শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ , ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাড. আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও  অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা ১ নং আসামির নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তন রুমের দরজা ভাঙে। ৩ নং আসামি ১, ২, ও ৪ নং আসামির পরামর্শক্রমে কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দড়জা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনি জনতাবদ্ধে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে।

দুজন আসামি লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে আমি বাধা দিই।  তখন তারা আমার বাম পাশের কানের ওপর মাথার অংশে জোরে আঘাত করলে আমি গুরুতর জখম হই। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিত মারপিট করে এবং পা দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে। আমার পরিহিত কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ওই আসামিরা আমার সঙ্গীয় ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারপিট করে আহত করে। একপর্যায়ে ৫ নং আসামির হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে আঘাত করে তার ডান হাতের আঙুল ভেঙে ফেলে এবং তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।  তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ১ নং আসামি অ্যাডভোকেট রিনা বেগমকে চড়থাপ্পড় ও হুমকি দেয় এবং ১১ নং আসামি গলা চেপে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। অন্যান্য আসামিরা অডিটোরিয়ামের ভেতরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও অরজকতা সৃষ্টি করে। যার ফলে নির্বাচনি দায়িত্বরত সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে এবং নির্বাচনি অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ভণ্ডুল হয়ে যায়। একপর্যায়ে সকল আসমিসহ ১ নং আসামি নিজে অস্ত্রের মুখে নির্বাচন সাব-কমিটির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবুল খায়েরকে ভোট গণনা ছাড়াই সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য বাধ্য করে। নির্বাচন সাব-কমিটির সকল সদস্য জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ভোট গণনার কাজ না করেই চলে যেতে বাধ্য হয়। আমার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকা ১২ নং আসামি নিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সি.সি টিভি ফুটেজে ঘটনার বিষয়ে সব ধারণ করা আছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণার কাজ আসামিরা সম্পন্ন হতে না দিয়ে ১ নং আসামিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে তার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায়। ’ 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে দুই দিনে ৭ হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে ৫ হাজার ৩১৯ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।  

news24bd.tv/aa