ডেঙ্গু দমন করছে বিশেষ মশা

সংগৃহীত ছবি

ডেঙ্গু দমন করছে বিশেষ মশা

অনলাইন ডেস্ক

মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ধরনের মশার ব্যবহার শুরু করছেন ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা। জিনগতভাবে বা জেনেটিক্যালি রূপান্তরিত এসব মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। খবর হার্ভার্ড পাবলিক হেলথ।

এ বছর ব্রাজিলে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে মশার প্রকোপ।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে ১০ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।

মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়াই ব্রাজিলে জরুরি অবস্থা জারি করতে দেখা গেছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটির সরকার ভ্যাকসিনের পাশাপাশি জেনেটিক্যালি রূপান্তরিত মশার ব্যবহার শুরু করেছে।

এছাড়া ব্রাজিলের আশেপাশে ডেঙ্গু প্রকোপ রোধে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছে দেশটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু রোধে খুব শীঘ্রই ভাইরাস শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য মশার বংশ-বৃদ্ধি আগে বন্ধ করতে হবে।

ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায় মূলত স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে। তাই পুরুষ এডিস মশাকে জিনগতভাবে পরিবর্তন করে স্ত্রী এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে কাজ শুরু করেছেন ব্রাজিলের বায়োটেক প্রতিষ্ঠান ‘অক্সিটেক’-এর বিজ্ঞানীরা। এ জন্য প্রথমে পুরুষ এডিস মশার জিন পরিবর্তন করে সেগুলোর ডিম তৈরি করা হয়। ডিমগুলো একটি বাক্সে রেখে দিলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুধু পুরুষ এডিস মশার জন্ম হয়। পরিবর্তিত এসব মশা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই আশপাশে থাকা স্ত্রী মশাগুলোকে হত্যা করে। ফলে স্ত্রী এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা কমে যায়।

এর আগে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বিভিন্ন রোগ ছড়াতে সক্ষম মশার সংখ্যা কমাতে জেনেটিক্যালি রূপান্তরিত মশা ছাড়া হয়েছিল।

news24bd.tv/DHL