শততম অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের রেকর্ড গড়লো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

সংগৃহীত ছবি

শততম অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের রেকর্ড গড়লো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

নিউজ টোয়েন্টিফোর হেলথ

শততম অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের রেকর্ড গড়লো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সফলভাবে শততম অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (বিএমটি) সম্পন্নের রেকর্ড গড়লো। এ উপলক্ষে সোমবার (১১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশের সর্বপ্রথম জেসিআই স্বীকৃত্ব এই হাসপাতালটি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ও চট্টগ্রামের হেমাটোলজি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রত্নদীপ চাস্কার, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের মেডিকেল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালসের চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউল সহ সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে বক্তরা জানান, লিউকেমিয়া চিকিৎসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ব পরিকল্পনা। ডেডিকেটেড বিএমটি ইউনিট ও লিউকেমিয়া ইউনিট সম্বলিত এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা বিভিন্ন ধরনের লিউকেমিয়া চিকিৎসায় সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। এখানে ফুল ম্যাচ ও হাফ ম্যাচ (হ্যাপলো) পদ্ধতিতে অটোলগাস ও অ্যালোজেনিক অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।  

সেইসাথে হসপিটালটিতে একটি স্টেম সেল প্রক্রিয়াকরণ ল্যাব, ক্রায়োপ্রিজারভেশন ফ্যাসিলিটি, আউটপেশেন্ট ও ইনপেশেন্ট প্রসিডিওর রুম, দ্রুত ও সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য ইন-হাউজ মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটি, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ সহ বিএমটি শয্যা, হেপা ফিল্টার এবং রিভার্স অসমোসিস ওয়াটার পিউরিফিকেশনের মতো বিশেষ সিস্টেম রয়েছে।

এখানকার মলিকিউলার ল্যাবটি ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ফ্লো সাইটোমেট্রির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এছাড়া রোগীর অবস্থার দ্রুত ও সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য সাবটাইপিং ভিত্তিক পিএনএইচ, ইমিউনো-হিস্টোকেমিস্ট্রি, পেট-স্ক্যান মতো পরিষেবাগুলিও রয়েছে এই হসপিটালে।

ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, একটি ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়া সত্বেও অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে আমরা সফলভাবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করে আসছি। ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে আমাদের সাকসেস রেট বেশি। তবে এর জন্য কোন ক্রেডিট নয়, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে একটা ভালো টিম তৈরি করেছি, এটাই সফলতা। অন্যান্য সেন্টারগুলিতে বিএমটিতে নিয়োজিত চিকিৎসকগণও আমাদের এখানে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এখন সারা দেশে এই চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

ডা. রত্নদীপ চাস্কার বলেন, দেশে আমরাই প্রথম হাসপাতাল যারা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য অত্যাধুনিক, প্রয়োজনীয় ও উন্নত যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি। রোগীদের এখন আর দেশের বাইরে যাবার দরকার নেই। এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাসমূহ। উপমহাদেশের সেরা হাসপাতালগুলোর একটি হবার লক্ষ্যে আমরা সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের শুরুটা কঠিন ছিল। এর জন্য দুই বছর সময় লেগেছে। আগে বিএমটির জন্য দেশের বাইরে যেতে হতো, এখন দেশেই সে চিকিৎসা মিলছে। সৌদি আরবে এই সেক্টরে দশ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডা. সালেহের নেতৃত্বে অত্যন্ত দক্ষ ক্লিনিক্যাল টিম কাজ করছে এখান। এখন বিএমটি চিকিৎসাকে আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।

news24bd.tv/health