ইহসানুল করিমের কুলখানি শুক্রবার 

ইহসানুল করিম

ইহসানুল করিমের কুলখানি শুক্রবার 

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইহসানুল করিমের কুলখানি আগামী শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুম্মার নামাজের পরে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এ কথা জানান।  

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম রোববার রাত ৮টার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ সোমবার বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাকে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ইহসানুল করিম হেলালের নামাজে জানাজায় অংশ নেন মন্ত্রী, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সব স্তরের মানুষ। শুরুতেই গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।

এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় তার দ্বিতীয় জানাজা। এ সময় তার কর্মজীবনের কিছু অংশ তুলে ধরেন প্রেসক্লাব সভাপতি। তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, নৈতিকতায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছাড় দেননি ইহসানুল করিম। সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, তার এই চলে যাওয়া এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করলো।

ইহসানুল করিম ২০১৫ সালের জুন থেকে চুক্তি ভিত্তিতে সচিব পদমর্যাদা ও বেতনক্রমে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ছিলেন।

ইহসানুল করিম ১৯৫১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তি বাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।

ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এ সময় তিনি সংবাদ সংস্থাটির বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে সংস্থাটির ব্যুরো প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি, পিটিআই এবং ভারতের দ্য স্ট্যাটমেন্ট ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশি প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা করেন। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছরের ২০ মে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ২১ মে তিনি প্রেস সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার- তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।

news24bd.tv/আইএএম