কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক ‘অভিশ্রুতি’র দাফন সম্পন্ন

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক ‘অভিশ্রুতি’র দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া:

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ অবশেষে ১১ দিন পর কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার কিছু পরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৮টার পরে মরদেহ বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। মরদেহ আসার পর গ্রামের মানুষ আরেকবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বৃষ্টির বাবা-মা একটানা বিলাপ করছিলেন।

নিহত এই সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশেষে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে যায় তার ডিএনএ।

এ কাণ্ডে ১১দিন বিলম্বের পর সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে সিআইডি। তারপরই মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে এক বন্ধুর সঙ্গে মারা যান সাংবাদিক অভিশ্রুতি। এরপর তার মরদেহ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রমনা কালী মন্দিরের পক্ষে মরদেহের দাবি করে বলা হয় অভিশ্রুতি শাস্ত্রী মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তাদের ধর্ম মানতেন।

এদিকে দাফন শেষে বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, আমার মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হলো। এর মধ্য দিয়ে এ নিয়ে করা ষড়যন্ত্র বিফল হলো। যারা ষড়যন্ত্র করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে।

news24bd.tv/কেআই