‘আধা কেজি খেজুর কিনলাম ৬শ’ টাকায়, সেটাও নরম’

‘আধা কেজি খেজুর কিনলাম ৬শ’ টাকায়, সেটাও নরম’

মাদারীপুর প্রতিনিধি

ইফতারের জন্য খেজুরসহ নানা ধরনের ফল কিনতে ফলের দোকানে ভিড় দেখা গেছে ক্রেতাদের। হাতের নাগালে ফল থাকলেও ফলের দাম নাগালের বাইরে! ফলে দোকানে ভিড় থাকলেও না কিনেই ফিরে যেতে দেখা গেছে অধিকাংশ ক্রেতাদের। একইসাথে দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে এই চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা জানান, খেজুরের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। নরম কম দামের খেজুরও আজ ২ শত টাকার উপর। অন্য সময়ে যে খেজুর সাড়ে ৩ থেকে ৪ শত টাকা বিক্রি হতো, ওই খেজুরের দাম হাজার টাকা। তাও ভালো মানের খেজুর মনে হচ্ছে না।
তাছাড়া অন্যান্য সকল ফলের দামই বেশি। ইফতারের জন্য ফল কিনতে এসে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে।

মাদারীপুর শহরের পুরানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর, মাল্টা, আঙুর আর তরমুজের দাম আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও হঠাৎ করেই বেড়েছে লেবুর দামও। রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা রকম সবজির দামও বেড়েছে কিছুটা। রকম ভেদে বেগুনে বেড়েছে ১০/২০ টাকা বেশি।

সবজি বিক্রেতারা জানান,সবজির দাম খুব একটা বাড়েনি। তবে বেগুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। রমজানে ইফতারে বেগুনির চাহিদা থাকায় বাজারে বেগুনের দাম একটু বেড়েছে। এছাড়া লেবুর দামও বেশি। এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

আরাফাত শরীফ নামে এক ক্রেতা বলেন, তরমুজের কেজি ৮০ টাকা করে। আর খেজুর তো কেনাই যাচ্ছে না। নিম্নমানের খেজুরের দাও চড়া। আগে ৪/৫ শত টাকায় যে খেজুর কিনতাম, আজ বাজারে ১২ শত টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খেজুর না কিনেই ফিরতে হয়েছে।

মো. কাওসার নামের এক ক্রেতা বলেন, ইফতারে সব সময়ে খেজুর খাই। এক পিস করে হলেও ইফতারে খেজুর থাকে। এ বছর দাম অনেক বেশি। না পেরে ৬ শত টাকা দিয়ে আধা কেজি খেজুর কিনেছি মাত্র।

ক্রেতারা আরও জানান, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুরই দাম বেড়েছে। তবে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ফলের দাম অনেক বেশি। ইফতারে ছোলা, চপ, পিঁয়াজুর পাশাপাশি আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুরসহ নানা রকম ফল থাকতো আগে। এ বছর অনেক কিছুই বাদ যাচ্ছে। খেজুর তো কেনাই যাচ্ছে না। ফলের দোকানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। বলেন, ফলের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করলেও বিক্রি কম। দাম বেশি থাকায় এক কেজির পরিবর্তে আধা কেজি, অনেকে আড়াইশ গ্রাম করে ফল কিনছেন। অনেকে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।

মাদারীপুর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হবে।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক