বসুন্ধরার আয়োজনে প্রতিদিন ১৮ হাজার মানুষের ইফতার

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইফতার করছে মানুষ

বসুন্ধরার আয়োজনে প্রতিদিন ১৮ হাজার মানুষের ইফতার

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) একসঙ্গে বসে ইফতার করেছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। পবিত্র রমজান এলেই এ মসজিদে অন্য রকম এক আবহে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত আর জিকির-আজকারে সারা দিনই মুখর মসজিদ অঙ্গন।  

সন্ধ্যায় দেখা যায়, হাজারো রোজাদার মুসল্লি কাতারবদ্ধ হয়ে ইফতার করছেন। মঙ্গলবারও চিরপরিচিত এই দৃশ্যের দেখা মিললো।

মঙ্গলবার আসরের পরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, নামাজ আদায় করেই মসজিদের পূর্ব চত্বরে মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েছেন। বসে বসে কেউ নিঃশব্দে তসবিহ জপছেন, কেউ বা মৃদু স্বরে করছেন জিকির।

পাশেই একদল মানুষ ইফতার বিতরণ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কথা বলে জানা গেল, তারা সবাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক।

আসরের নামাজের পরপরই তারা ইফতারি বিতরণে মনযোগী হন।

রমজান মাসজুড়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রতিদিন তিন হাজার মুসল্লির জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করছে এ শিল্পগোষ্ঠী।

শুধু জাতীয় মসজিদেই রমজান মাসে প্রায় ১ লাখ মুসল্লির জন্য ইফতারের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই মসজিদের মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজি মো. ইয়াকুব আলী। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে একসঙ্গে তিন হাজার মানুষের জন্য আয়োজন করা হয় ইফতারের।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর নিজ তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন পানিসহ ৩ হাজার প্যাকেট ইফতারি এখানে পাঠিয়ে দেন। সাধারণ মুসল্লি থেকে শুরু করে ছিন্নমূল নারী-পুরুষ সবাই এখানে ইফতার করছেন। প্রায় ২০০ নারী ও এখানে ইফতার করছেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর কর্তৃক এবার তৃতীয়বারের মতো আয়োজন চলছে। গতবছর আমাদের এখানে ৮০ হাজার মানুষের জন্য ইফতারির আয়োজন করা হয়েছে। এই বছর ১ লাখ লোকের ইফতারির আয়োজন করা হবে।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করেন। রমজানের সময় অনেকে বুঝতে পারেন না কোথায় ইফতার করবেন। বহু মানুষ আছেন সামর্থ্যহীন। তাদের সবার জন্যই এই ব্যবস্থা। ইফতারের ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এবার আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া রমজান শেষ হলে নতুন করে ওমরাহ পাঠানোর কর্মসূচি শুরু হবে।

ইফতারপূর্ব দোয়া ও মোনাজাতে ইসলামের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের খেদমত কবুল ও মঞ্জুর করে নেওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মহিউদ্দিন কাশেম। দোয়া মোনাজাত শেষে একসাথে তিন হাজার মুসল্লি ইফতার করেন।
news24bd.tv/আইএএম