স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তায় নতুন নাগরিক সংগঠনের যাত্রা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তায় নতুন নাগরিক সংগঠনের যাত্রা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তায় নতুন নাগরিক সংগঠনের যাত্রা

অনলাইন ডেস্ক

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্ক নামে নতুন একটি নাগরিক সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনটির রয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন জনস্বাস্থ্যবিদ, চিকিৎসক ও জাতীয় সংসদের একাধিক সংসদ সদস্য।

পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সভায় অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে পাঁচজন সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বর্তমান উপাচার্য ও তিনজন সাবেক উপাচার্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক তিন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমি চাই বাংলাদেশ স্মার্ট ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ নেটওয়ার্কের যাত্রা শুভ হোক। এটি আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে অনেকটাই সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা চাইলেই কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে কিছু করতে পারি না যদি আমলারা না চান। কারণ, আমাদের আমলারা অনেক সংঘবদ্ধ।

তারা অনেক ক্ষমতা রাখেন। তারা না চাইলে এই নেটওয়ার্ক উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, মন্ত্রী আমাদের, মন্ত্রণালয় আমাদের, সরকার আমাদের। তারপরও আমাদের কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঠিকমতো হয় না আমলাদের কারণে।

তিনি বলেন, নতুন এই সংগঠনের কাজ হবে আমলাদের দৌরাত্ম্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া।

স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবা অনেকটাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কথা। কিন্তু সেগুলোকে বাস্তবিক অর্থে কোনো সেবা নেই। অথচ এগুলোর তদারকিতে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটি আছে, কিন্তু নামে থাকলেও কোনো কার্যক্রম নেই। তাদেরকে সক্রিয় করা গেলে আর কিছুই লাগবে না, এমনিতেই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র পাল্টে যাবে। এটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ, কিন্তু তারা করছে না।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এই পদে থাকার যোগ্যতাই নেই। তারপরও তিনি কীভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, আমরা জানি না। তার কাজ হলো একদিনে ৪৬০টি উপজেলা ঘুরবে চেয়ারে বসে বসে। তা না করে তিনি সারাক্ষণ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বসে থাকেন।

প্রায় তিন ঘণ্টার সভায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। কেউ কেউ বলেন, স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা জানা, সমাধানও জানা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।

সংগঠনের উদ্দেশ্য ও আশু করণীয় বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বলেন, দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো অনেক ভালো। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক ধরে রাখা, চিকিৎসাব্যবস্থা কার্যকর রাখা।

news24bd.tv/aa