৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন

জাকিয়া সুলতানা

৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন

অনলাইন ডেস্ক

ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা এইটা ভাবতে অবাক লাগে।

৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ২৭ থেকে ৩০ বয়সেও বিয়েহীন। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে এরা এমন এক সংকট তৈরী করেছে যে। আগামী ৫ বছরে লাখ লাখ মেয়ে বিয়েহীন থাকবে৷

তাদের যৌবনের চাহিদা, আবেগ, ভালোবাসা হারানোর ফলে।

স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েই সংসারে দরকষাকষি করবে৷

আর স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য, কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তখন সংসার টিকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ তার স্ত্রী ৩০ টা বছর পুরুষের ফিতরাতে টেক্কা দিয়ে সে নিজেই পুরুষে বিবর্তিত হয়ে গেছে। তার আস্ত দেহটাই নারীর বৈশিষ্ট্য হলেও।

সে মানসিকভাবে পুরুষ।

স্বামী তাকে দৈহিক ভাবে নারী পেলেও সে মেন্টাল ভাবে পুরুষ।

এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে। মেয়েরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যৌবন থেকে যেমন বঞ্চিত হবে। বঞ্চিত হবে সংসার থেকেও। বঞ্চিত হবে আখিরাতের মুক্তি থেকেও।

লিখেছেন 
ড: জাকিয়া সুলতানা


এর পাল্টা একটি পোস্ট দিয়েছেন জাকিয়া শিশির আজ ১৩ মার্চ ফেসবুকে: 

ভয়ংকর ও নিন্দিত একটা লেখা ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে৷কয়েকদিন আগে চোখে পরেছিলো আজ আবার পরলো। লেখাটির শিরোনাম হলো "ভয়ংকর এক নারী প্রজন্মের অপেক্ষায় আমরা" সেখানে যা লেখা হয়েছে তা হলো
২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সের ৭৫% উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা এখনও বিয়েহীন।
এই সংখ্যাটা আগামী পাঁচ বছরে লক্ষতে গিয়ে পৌছাবে ৷
স্বামীর মন জয় করার পরিবর্তে এরা স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে স্বামীর সঙ্গে দর কষাকষিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে।
স্বামীও তাদের মাঝে আনুগত্য,কোমলত্ব,নারীত্ব না পেয়ে অসহ্য হয়ে উঠবে। তারা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হবে ইত্যাদি ইত্যাদি৷
নারীদেরকে নিয়ে  অসম্মানজনক  কথার তো কোন শেষ নেই। বলতে ট্যাক্সও লাগেনা৷এসব যারা বলে তাদেরকে আমার কখনোই সভ্য মনে হয়না৷ তবে এই লেখাটি যেহেতু ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই লিখলাম৷ আমার জানা কয়েকজন ভদ্রলোককেও দেখলাম এটা সাপোর্ট করছেন৷ যা দেখে তাদের সম্পর্কে ধারণা কিছু পাল্টেছে বৈকি৷ 
একসময় বলা হোতো,"নারী চিরতার মতো তেতো৷"শেমাই যেমন ভাত নয়,নারীও তেমনি মানুষ নয়। "ভাগ্যবানের বৌ মরে,অভাগার গরু মরে"। অথচ নারীর জয়যাত্রার কাহিনী আজকের নয়৷ শুরু হয়েছে সেই আদিকাল থেকেই। নতুন ক'রে তাই এর ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো দরকার আছে কি? 
আমি এই লেখাটার তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাচ্ছি। বিয়ে মানবজীবনের অনেক ঘটনার মধ্যে একটা ঘটনা মাত্র। এর বেশি কিছু নয়। সংসারের যাতাকলের যাতনা সহ্য করতে না পেরে যদি কোনোদিন নারীসমাজ সেই বন্ধন ছিন্ন করতেই চায়, অথবা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে সেটা তার অধিকার। এটা নিয়ে কিছু বলা মানে অনধিকার চর্চা করা৷যার ইচ্ছে হবে সে বিয়ে করবে যার হবেনা সে করবেনা৷ কোন নারী দেরীতে বিয়ে করলো তা নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথা কেন?এখনো আমাদের দেশে নারীদের সামান্য অধিকারও প্রতিষ্ঠা হয়নি। আমাদের সেই দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত৷ কে কতো বছর বয়সে বিয়ে করলো,বা আদৌ সে বিয়ে করলো কিনা বা কেন বিয়ে করছে না-এ সমস্ত নিয়ে মাথা ঘামানো একেবারেই অনধিকার চর্চার মধ্যে পড়ে।

(এই বিষয়টি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। পাল্টাপাল্টি লেখা চলছে।  অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো । মতামত দেওয়া পোস্টকারীদের লেখা হুবহু এবং  নিজস্ব। )

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক