মমতার ধমক খেয়ে সুর পাল্টালেন তার ছোটভাই 

মমতা ও বাবুন , আজতক ফাইল ছবি।

মমতার ধমক খেয়ে সুর পাল্টালেন তার ছোটভাই 

সম্পর্কে ভাই-বোন। আজ বুধবার ( ১৩ মার্চ)  সকালে টিভিনাইন অনলাইনে এক ইন্টারভিউতে সকালে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ( মমতার ছোটভাই) বলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বারবার আশ্বাস দিলেও দল তাঁকে গুরুত্ব দেয়নি। বাবুন বলেছেন, “দিদির যাঁরা বেশি কান ভাঙায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই টিকিট পেয়েছেন।


তার অভিযোগ, তৃলমুলের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রসূণের সঙ্গে হাওড়ার সাধারণ মানুষের সংযোগ নেই। এই নিয়ে প্রায়শই নাকি তাঁকে অভিযোগ শুনতে হয়। সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রী–সকলেই ফোন করে প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বাবুন বলেন, “২০১৯ সাল থেকে চেয়েছিলাম উনি যেন হাওড়ায় প্রার্থী না হয়।
অন্য যে কেউ হতে পারেন। ওইখানে তো অনেক ভাল ভাল মানুষ রয়েছেন। জনসংযোগ বিহীন সাংসদ না হওয়াই পার্টির পক্ষে ভাল। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করি তো তাই বুঝি। ”
কিন্তু বেলা না গড়াতেই সুর পাল্টালেন তিনি।  দুপুরের পরপরই তিনি বলেন, ‘দিদি যা বলেছে, আশীর্বাদ হিসাবে নিচ্ছি। দিদি আমার কাছে ভগবান। অভিভাববক হিসাবে ঠিক বলেছে। দিদি আমার অভিভাবক। দিদি আমাকে মানুষ করেছে। দিদি যা বলেছে ঠিক বলেছে। গিয়ে দিদির সঙ্গে দেখা করব। আমি সব শুনেছি। আমি হয়তো ভুল করেছি, সেই জন্যই দিদি বলেছে’। তিনি বলেন, ‘হাওড়া থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াচ্ছি না। ’ খবর , হিন্দুস্তান টাইমস।  
পেছনের কারণ হিসেবে জানা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করতেই সুর বদল করেছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়।  

টিকিট না পেয়ে আগেই অভিমানী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। এই সব বিতর্কের মধ্যেই ফের বিস্ফোরক স্বপন। জানালেন, হাওড়া থেকে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়তে চাইছেন। একই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে কালীঘাটের ৩০বি হরিশ চ্যা টার্জি স্ট্রিট ছেড়ে হাওড়ার শিবপুরের ভোটার তালিকায় নাম তোলেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুন। সেই সময়ই কার্যত তিনি জানিয়েছিলেন, হাওড়াবাসীর পাশে তিনি থাকতে চান। দল প্রার্থী করলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মসূচিকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবেন। কিন্তু এবারও তা না হওয়ায় অভিমানী মমতার ছোট ভাই। বস্তুত, প্রসূণ ও স্বপনের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। পিছিয়ে যেতে হবে কয়েক চার-পাঁচ বছর আগে। সেই সময় মোহনবাগান ক্লাবের জেনারেল মিটিং চলার সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় জীবিত ছিলেন প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্র। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী আড়াআড়ি দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে টুটু বসু অন্যদিকে অঞ্জন মিত্র। সেই মিটিংয়ে প্রকাশ্য মঞ্চেই প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুনের মধ্যে ঝামেলা বাধে।  

news24bd.tv/ডিডি