রোজ খেজুর খান, মিলবে রোগমুক্তি 

ফাইল ছবি

রোজ খেজুর খান, মিলবে রোগমুক্তি 

নিউজ টোয়েন্টিফোর হেলথ

খেজুর মানুষের প্রিয় ফল। রমজানে এই ফলটির চাহিদা বেশ বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা কতজন জানি খেজুরের পুষ্টিগুণের কথা?

পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে।

 
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

খেজুরের পুষ্টিগুণ
সুস্বাদু খেজুর ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।

খেজুরকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রতিদিনের খান খেজুর
সারাদিন রোজা রাখার পর আয়রনে ভরপুর খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন ইফতারে। অন্তত দুটি খেজুর যদি প্রতিদিন খান তবে অনেক রোগ কাছেও ঘেঁষবে না-এমনটিই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের সবই রয়েছে খেজুরে।  

আসুন, জেনে নিই খেজুরের আরো কিছু উপকারের কথা।
১. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ফাইবারও মিলবে খেজুরে। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন।  একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।  
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো সেই পানি পান করুন।
৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।  
৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা চোখের রেটিনার জন্য বেশ ভালো।

সতর্কতা
এতো উপকারী খেজুর আবার বেশি খাওয়া যাবে না। কেননা, অতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।  অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনি। কারণ এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম। আবার মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে বদহজম হতে পারে, হতে পারে পেটের নানা রকম সমস্যাও।

news24bd.tv/health

এই রকম আরও টপিক