শিরিন মালাস একজন অভিনেত্রী। জন্ম সিরিয়ায় হলেও স্থায়ী হয়েছেন জার্মানিতে । ২০১৫ জার্মানিতে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। এতে তার মা নাজাহর সঙ্গে এই অভিনেত্রীর বিচ্ছেদ তৈরি হয়।
মায়ের মৃত্যুর পর শোক কাটাতে পারছিলেন না শিরিন। একপর্যায়ে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবস্থা হাতে পান, যা কিছুটা হলেও তার মা হারানোর বেদনা লাঘব করতে পেরেছে। সূত্র: রয়টার্স ও স্কাই।
‘প্রজেক্ট ডিসেম্বর’ নামের এই এআই টুলের নেপথ্যের মানুষদের দাবি, এটি মৃত মানুষদের জীবদ্দশার আচরণ ও কথাবার্তাকে অনুকরণ করতে পারে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করতে হয়। সেখানে মৃত প্রিয়জনের বয়স, তার সঙ্গে সম্পর্ক কী ছিল এবং ওই মৃত ব্যক্তির একটি উদ্ধৃতিসহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হয়।
মায়ের সম্পর্কে শিরিন বলেন, ‘তিনি আমার জীবনের পথপ্রদর্শক ছিলেন। কীভাবে নিজেকে ভালোবাসতে হয়, তা তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন। ’ এরপর এসব তথ্য চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহৃত ভাষা মডেলের প্রাথমিক সংস্করণ ব্যবহার করে, এমন একটি এআই চ্যাটবটে যুক্ত করা হয়। মৃত স্বজনকে নিয়ে ব্যবহারকারীর স্মৃতিতে যেসব তথ্য থাকে, সেগুলোর ভিত্তিতে ওই মৃত স্বজনের প্রোফাইল তৈরি করা হয়।
এই এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অর্থ গুনতে হয়। ১০ ডলার খরচ করলে ব্যবহারকারীরা চ্যাটবটে প্রায় এক ঘণ্টা মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারেন। প্রজেক্ট ডিসেম্বরের ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাসন রোহরার বলেন, সাধারণত আকস্মিকভাবে প্রিয়জন হারানো মানুষেরা এই টুল ব্যবহার করে থাকেন।
মায়ের মতো করেই চ্যাটবটে শিরিনকে ডাকনামে সম্বোধন করা হয়েছে। অনলাইন ফরমে দেওয়া তথ্যে শিরিন এই তথ্য যুক্ত করেছিলেন। মায়ের মতো করেই চ্যাটবটে তিনি ভালোভাবে খাচ্ছেন কি না, তার খোঁজখবর জানতে চাওয়া হয়েছে। এমনকি শিরিনকে এটাও বলা হয়েছে যে তার মা যেন তাকে দেখছেন।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ ধরনের এআই টুল ব্যবহার করা হলে শোকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
news24bd.tv/ডিডি