বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ১০ বছর আগে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি। বৃদ্ধির হার এতই বেশি যে, অদূর ভবিষ্যতে এটা মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। তাদের মধ্যে প্রতি বছর আকস্মিক কিডনি রোগীর সংখ্যা ২৫-৩০ হাজার, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা ৩৫-৪০ হাজার। বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসক রয়েছে প্রায় ৩০০ জন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দুটি কিডনির প্রতিটিতে প্রায় ১০-১২ লাখ ছাঁকনি রয়েছে।
এক সমীক্ষার উল্লেখ করে বলা হয়েছে-দেশের শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে ১১ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ শতাংশ এবং আইসল্যান্ডে ১০ শতাংশ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। আকস্মিক কিডনি রোগের কারণগুলো-ডায়ারিয়া, রক্তক্ষরণ, কিডনি প্রদাহ, তীব্র সংক্রমণ, আকস্মিক হৃদ্রোগ, কিডনির ক্ষতিকারক কিছু ওষুধ, মূত্রনালির প্রতিবন্ধকতা।
লক্ষণগুলো হলো-প্রস্রাব কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া, শরীরে পানি আসা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া। কিডনির কার্যকারিতা তিন মাস বা তার বেশি সময় পর্যন্ত লোপ পেলে তাকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বলা হয়।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণগুলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস ও অন্যান্য। লক্ষণ হলো-বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, প্রথম দিকে ঘন ঘন প্রস্রাব, পরে কমে যাওয়া, ক্রমান্বয়ে দুর্বলতা বৃদ্ধি পাওয়া, রক্ত স্বল্পতা, ও শ্বাসকষ্ট।
বিএসএমএমইউর কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদ রমা সাইফুল ইসলাম দিপু, কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এই চ এম হামিদ আহমেদ, অধ্যাপক কেবিএম হাদিউজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক প্রমুখ।
news24bd.tv/তৌহিদ