কোন দেশের মুসল্লিরা কত ঘণ্টা রোজা রাখছেন?

কোন দেশের মুসল্লিরা কত ঘণ্টা রোজা রাখছেন?

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের সব জায়গায় কিন্তু একই দিন রোজা শুরু হয় না। পৃথিবীতে অবস্থান এবং চান্দ্র দেখার ওপর ভিত্তি করে রোজা হওয়ায় প্রতিবছরই দেশে দেশে রমজান মাস শুরুর ক্ষেত্রে দু–এক দিনের হেরফের হয়। পাশাপাশি রোজাদারেরা কত ঘণ্টা রোজা রাখবেন, সেই সময়েরও পার্থক্য হয়ে থাকে।  

জেনে নেওয়া যাক এবার কোন দেশের মুসল্লিরা কত ঘণ্টা রোজা রাখছেন-

—বাংলাদেশের ঢাকা: ১৪ ঘণ্টা
—মরক্কোর রাবাত: ১৪ ঘণ্টা
—সিরিয়ার দামেস্ক: ১৪ ঘণ্টা
—পাকিস্তানের ইসলামাবাদ: ১৪ ঘণ্টা
—ইরাকের বাগদাদ: ১৪ ঘণ্টা
—লেবাননের বৈরুত: ১৪ ঘণ্টা
—জর্ডানের আম্মান: ১৪ ঘণ্টা
—ফিলিস্তিনের গাজা: ১৪ ঘণ্টা

—গ্রিনল্যান্ডের নুক: ১৬ ঘণ্টা
—আইসল্যান্ডের রেকজাভিক: ১৬ ঘণ্টা
—ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি: ১৫ ঘণ্টা
—নরওয়ের অসলো: ১৫ ঘণ্টা
—স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো: ১৫ ঘণ্টা
—জার্মানির বার্লিন: ১৫ ঘণ্টা
—আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন: ১৫ ঘণ্টা
—রাশিয়ার মস্কো: ১৫ ঘণ্টা
—নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম: ১৫ ঘণ্টা
—পোল্যান্ডের ওয়ারশ: ১৫ ঘণ্টা
—কাজাখস্তানের আস্তানা: ১৫ ঘণ্টা

—আরব আমিরাতের দুবাই: ১৩ ঘণ্টা
—সুদানের খার্তুম: ১৩ ঘণ্টা
—সৌদি আরবের রিয়াদ: ১৩ ঘণ্টা
—নাইজেরিয়ার আবুজা: ১৩ ঘণ্টা
—ইয়েমেনের এডেন: ১৩ ঘণ্টা
—সেনেগালের ডাকার: ১৩ ঘণ্টা
—ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা: ১৩ ঘণ্টা
—আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস: ১৩ ঘণ্টা
—শ্রীলঙ্কার কলম্বো: ১৩ ঘণ্টা
—মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর: ১৩ ঘণ্টা
—সোমালিয়ার মোগাদিসু: ১৩ ঘণ্টা
—কেনিয়ার নাইরোবি: ১৩ ঘণ্টা
—জিম্বাবুয়ের হারারে: ১৩ ঘণ্টা
—ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা: ১৩ ঘণ্টা
—অ্যাঙ্গোলার লুয়ান্ডা: ১৩ ঘণ্টা
—থাইল্যান্ডের ব্যাংকক: ১৩ ঘণ্টা
—ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া: ১৩ ঘণ্টা
—দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ: ১৩ ঘণ্টা
—উরুগুয়ের মন্টেভিডিও: ১৩ ঘণ্টা
—অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা: ১৩ ঘণ্টা
—চিলির পুয়ের্তো মন্টে: ১৩ ঘণ্টা
—নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ: ১৩ ঘণ্টা
—বেলজিয়ামের ব্রাসেলস: ১৪ ঘণ্টা
—যুক্তরাজ্যের লন্ডন: ১৪ ঘণ্টা
—সুইজারল্যান্ডের জুরিখ: ১৪ ঘণ্টা
—সুইডেনের স্টকহোম: ১৪ ঘণ্টা
—রোমানিয়ার বুখারেস্ট: ১৪ ঘণ্টা
—বুলগেরিয়ার সোফিয়া: ১৪ ঘণ্টা
—ইতালির রোম: ১৪ ঘণ্টা
—স্পেনের মাদ্রিদ: ১৪ ঘণ্টা
—ফ্রান্সের প্যারিস: ১৪ ঘণ্টা
—পর্তুগালের লিসবন: ১৪ ঘণ্টা
—তুরস্কের আঙ্কারা: ১৪ ঘণ্টা
—কানাডার অটোয়া: ১৪ ঘণ্টা
—জাপানের টোকিও: ১৪ ঘণ্টা
—চীনের বেইজিং: ১৪ ঘণ্টা
—গ্রিসের এথেন্স: ১৪ ঘণ্টা
—যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক: ১৪ ঘণ্টা
—যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি: ১৪ ঘণ্টা
—যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস: ১৪ ঘণ্টা
—তিউনিসিয়ার তিউনিস: ১৪ ঘণ্টা
—আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স: ১৪ ঘণ্টা
—ইরানের তেহরান: ১৪ ঘণ্টা
—আফগানিস্তানের কাবুল: ১৪ ঘণ্টা
—ভারতের নয়াদিল্লি: ১৪ ঘণ্টা
—মিসরের কায়রো: ১৪ ঘণ্টা
—কাতারের দোহা: ১৩ ঘণ্টা

বিশ্বজুড়েই দিনব্যাপী রোজা রাখা হয় সাধারণত ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা।

একজন রোজাদার পৃথিবীর কোন স্থানে অবস্থান করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে রোজা রাখার সময়ে এই পার্থক্য হয়ে থাকে।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, আজ থেকে ১৪০০ বছরের বেশি সময় আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ওপর পবিত্র কোরআন প্রথম অবতীর্ণ হয় রমজান মাসেই।

একজন মুসলিমকে ফজরের নামাজের সময় শুরু হওয়া থেকে মাগরিবের নামাজের সময় শুরুর আগপর্যন্ত অর্থাৎ সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিনব্যাপী রোজা রাখতে হয়। এই সময়ে খাবার ও পানীয় গ্রহণ, ধূমপান ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকতে হয় তাঁকে।

এর মধ্য দিয়ে আল্লাহর ভয় ও তাঁর নৈকট্য অর্জন করার সুযোগ পান রোজাদার ব্যক্তি।

প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কেন রোজা শুরু

প্রতিবছর রমজান মাস পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১০ থেকে ১২ দিন এগিয়ে আসে। এর কারণ, ইসলামি ক্যালেন্ডারে মাসের হিসাব করা হয় হিজরি চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী। চান্দ্রবর্ষে একেকটি মাস ২৯ বা ৩০ দিন হয়ে থাকে।

চান্দ্রবর্ষ সৌরবর্ষের চেয়ে ১১ দিন কম হওয়ায় ২০৩০ সালে রমজান মাস পালন করা হবে দুবার। ওই বছর প্রথম রমজান মাস শুরু হবে ৫ জানুয়ারি। আর ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় রমজান মাস।

এবারের মতো ১২ মার্চের পর আবারও রমজান মাস শুরু হবে এখন থেকে ঠিক ৩৩ বছর পর। সালটি হবে ২০৫৭।

news24bd.tv/আইএ