রাঙামাটিতে কুকুর ও বানরের উৎপাত : হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক টিকা

রাঙামাটিতে কুকুর ও বানরের উৎপাত : হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক টিকা

 ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

রাঙামাটিতে বেড়েছে কুকুর ও বানরের উৎপাত। এসব প্রাণীর কামড় ও আঁচড়ে আহত হয়েছে শিশুসহ বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্ক টিকাও। টিকা দিতে গিয়ে ফিরে আসছেন আহতরা।

তাই আতঙ্ককে স্থানীয়রা।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের নজরদারি না থাকায় শহরের অলিগলিতে বেড়েছে কুকুর। প্রতিনিয়তো কুকুরগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একইভাবে খাদ্য সংকটে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বানরও।

এদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না শিশুসহ বৃদ্ধরাও।

সংশ্লিষ্ট সূূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাঙামাটি শহরের গর্জনতুলী এলাকায় একটি বানর প্রবেশ করে। বানরটি মানুষের বাসা বাড়িতে ঢুকে হামলা করতে শুরু করে। বানরের কামড়ে আহত হয়েছে ওই এলাকার লিটন ত্রিপুরার মেয়ে, সোহেল ত্রিপুরার ছেলে ও অমিত ত্রিপুরা ছেলে। এইভাবে কুকুরের কামড় ও আঁচড়ের শিকার হয়েছে শহরের বনরূপা, কাঠালতলী এলাকার বেশ কয়েকজন।

কুকুরের কামড়ে আহত জিনিয়ার মা রেশমি আক্তার বলেন, কাঠালতলী এলাকায় সড়কে চার, পাঁচটা কুকুর আমার মেয়েকে ঘিরে ধরে। একটা কুকুর আমার মেয়ের উপর লাফিয়ে পড়লে দাঁত বসে যায়। পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে গেলে জানিয়ে দেয়, তাদের কাছে নাকি জলাতঙ্কের টিকা নেই। দোকান থেকে কিনে দিতে বলে। কিন্তু রাঙামাটি শহরে কোনো ফার্মেসিতে জলাতঙ্কের টিকা মিলছিল না। তিন দিন পর চট্টগ্রামে গিয়ে টিকা দিতে হয়।

একই অভিযোগ করেন কাঠালতলী এলাকার সেলিম। তিনি বলেন, কাঠালতলী এলাকায় কুকুর অনেক বেশি। সব কুকুর মানুষের বাসা বাড়ি ঢুকে মুরগি, কবুতর ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় আমাদের বিড়ালকে কামড় দিয়েছে। সেই বিড়ালের আঁচড় খেয়ে আমাদের সবাইকে জলাতঙ্কের টিকা মারতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাঙামাটি গর্জনতলী এলাকার ঝিনুক ত্রিপুরা বলেন, বানরের কামড়ে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু টিকা না পেয়ে সবাই হতাশ হয়ে পড়েছে।

রাঙামাটি জেলারেল হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক মো. সওকত আকবর বলেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে টিকা শেষ হয়ে গেছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন চার দিনের মধ্যে আশা করি টিকা চলে আসবে।

news24bd.tv/কেআই