বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সিআরআইয়ের ‘দ্য ফিয়ারলেস কল: থ্রি’

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সিআরআইয়ের ‘দ্য ফিয়ারলেস কল: থ্রি’

অনলাইন ডেস্ক

দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো ডিজিটাল আর্টওয়ার্ক প্রদর্শনী ‘দ্য ফিয়ারলেস কল’। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা আজ রোববার (মার্চ) এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।

1

‘দ্য ফিয়ারলেস কল থ্রি’- নামে ডিজিটাল শিল্পকর্মটিতে ছিলেন এক ঝাঁক তরুণ শিল্পী। তারা হলেন, একেএম সালেহ আহমেদ অনিক, আরাফাত করিম, সুবর্না মোর্শেদা, সাবিহা হক, অনন্যা মেহপার আজাদ, অন্তরা মেহরুখ আজাদ, সায়েদ ফিদা হোসাইন, রিশান শাহাব তীর্থ, আপন জোয়ার্দার, মিতালি রায়, সুহাস নাহিয়ান এবং শুভ্র দাস।

এই শিল্পকর্মটির কিউরেটর ছিলেন এমদাদুল হক তপু। গবেষণা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন জন্মজয় দে ও নভেরা কাজী।

1

দ্য ফিয়ারলেস কল এর এবারের আসরে অ্যা জার্নি টুওয়ার্ডস ওয়ার্ল্ড পিস, ইনোসেন্ট মিলিয়নস, দ্য ইন্ড অব ওয়ার, ডেড অ্যাস ফেমিন স্প্রেড, হোয়াট ইফ, লেটার টু ইউএন, অ্যা ফিল্ম বাই সহ আরও বেশ কিছু চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়। এই শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-বিশৃঙ্খলা, গণহত্যা এবং দুর্ভিক্ষ, বর্ণবাদ এবং উদাসীনতা, অসমতা এবং পক্ষপাতের ভরা এই বিশ্বে  একটি "পিস পার্ক" ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন শিল্পীরা।

যেখানে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে পটভূমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলায় দেওয়া সেই ভাষণে বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা এখনো প্রাসঙ্গিক। ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের ভাষণে বঙ্গবন্ধু দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও সম্পদের সঠিক বণ্টন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার রাজনৈতিক ভ্রমণ এই পার্কের পটভূমি হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়।

প্রদর্শনীতে আসা এক বিদেশি চিত্রশিল্পী বলেন, আমি এখানে আছি ৪ সপ্তাহ ধরে। আমি জলরং নিয়ে এখানে কাজ করেছি। আমি কোপেনহেগেন থেকে এসেছি। আমি প্রদর্শনীতে যেতে পছন্দ করি। এটা খুব মজার কারণ একদল তরুণ তাদের জাতির পিতার ১৯৭৪ সালের ভাষণের ওপর ছবিগুলো এঁকেছে। আমি আপনাদের মাতৃভাষার বর্ণগুলাও পছন্দ করি। এটা আমার কাছে মনে হয় একটি চিত্রকর্ম।

আরেক বিদেশি বলেন, এটা খুব ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। ইতিহাসকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।  

প্রদর্শনীতে বিভিন্ন টাইপোগ্রাফি ও ছবির বুননে জাতির পিতার জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। ২৩ বছরের ঔপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে রক্তপাতের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর জীবনে রাজনৈতিক বাঁকের নানা দিকে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা উঠে আসে শিল্পকর্মটিতে।  

1

২০১৫ সাল থেকে ৭ মার্চের ভাষণের দিনে জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করতো ইয়াং বাংলা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মধ্যে দুই বছর সেটি বন্ধ থাকায় গত বছর ও এ বছর আবারও আয়োজিত হয়েছে জয় বাংলা কনসার্ট। প্রথমবারের মতো জয় বাংলা কনসার্টটি ঢাকার বাহিরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান তরুণদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও গর্ব করার মতো ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করতে জয় বাংলা কনসার্টের মতোই ইয়াং বাংলার বিকল্প এক আয়োজন এই শিল্পকর্ম প্রদর্শন।

news24bd.tv/আইএএম