শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনকে (৪০) হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামের আব্দুল জুব্বারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (২৪) ও একই উপজেলার কালাকুমা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (৬৫)।
রোববার দুপুরে শেরপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম-সেবা। নিহত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন কাকরকান্দি গ্রামের মো. সাফায়েতউল্লাহর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেন ও হত্যাকারী আলমগীর হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। আলমগীর হোসেন পেশায় একজন ট্রাক্টর চালক। তিনি কিছুদিন আগে ঋণগ্রস্ত হয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। ঢাকায় বসেই আলমগীর পরিকল্পনা করেন, গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটি অটোরিকশা ছিনতাই করে তা বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন।
এদিকে ১৪ মার্চ ঘটনাস্থল থেকে নিহত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
পরে ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূঁইয়া নেতৃত্বে এসআই কামরুল হাসান, এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ঘাতক আলমগীর হোসেন ও তার খালু মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে নিহত অটোরিকশা চালক মোশারফ হোসেনের ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও ৪টি ব্যাটারি, ব্যাটারি বিক্রয়ের ৮ হাজার টাকা ও খালি জুসের বোতল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আলমগীর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. আরাফাতুল ইসলাম, ডিআইও-১ জাহাঙ্গীর আলম, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভুঁইয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv/তৌহিদ