নিপুণ প্যানেলের সভাপতি মাহমুদ কলি

নিপুণ প্যানেলের সভাপতি মাহমুদ কলি

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের জনপ্রিয় অভিনেতা মাহমুদ কলি। দীর্ঘদিন তিনি রূপালী পর্দায় দর্শক মাতিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবেন অভিনেতা মাহমুদ কলি।  দুই দফায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন।

শুধু তাই নয়, নিপুণ আক্তারের প্যানেলের সভাপতির পদে নির্বাচন করবেন তিনি। একটি বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নিপুণ।

প্রসঙ্গত, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক।

তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন।

মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।

মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তারমধ্যে ২টি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি। শাবানা, ববিতা, রোজিনা, অলিভিয়া, দিতি, চম্পা, অঞ্জনা, সূচরিতা, নূতনসহ অনেক জনপ্রিয় নায়িকার সঙ্গেই তাকে দেখা গেছে রূপালি পর্দায়। তিনি শওকত জামিলের পরিচালিত কলকাতার দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে ‘সবার উপরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৯৪ সালে নায়ক হিসেবে মাহমুদ কলি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পায়। এর নাম ছিলো ‘মহাগ্যাঞ্জাম’। তবে ২০০২ সালে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিলো ‘আবার একটি যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি উকিল চরিত্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর তিনি একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি টিভি নাটক নির্মাণেও নাম লেখান। ‘তাদের কথা’ নামি ছিলো তার প্রথম নাটকের। এরপর তিনি ‘আলোকিত আঙ্গিনা’ নামে আরও একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করেন।

news24bd.tv/এসসি