ঝালকাঠির বাজার থেকে হঠাৎ উধাও মুরগি

সংগৃহীত ছবি

ঝালকাঠির বাজার থেকে হঠাৎ উধাও মুরগি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই ঝালকাঠি শহেরর বিভিন্ন বাজারে মুরগির দোকান থেকে ব্রয়লার মুরগির উধাও। অনেক ব্যবসায়ী দোকানের মুরগি অন্যত্র সরিয়ে দোকান গুটিয়ে সটকে পড়েছেন। এমতাবস্থায় রমজানের ষষ্ঠ দিনে ঝালকাঠি পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে মুরগি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

সল্প আয়ের ক্রেতাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা শীর্ষে।

কিন্তু শহরের বাজারে হঠাৎ ব্রয়লার মুরগির এমন কৃত্তিম সংকট তৈরি হওয়ায় লেয়ার ও সোনালীসহ কোনো জাতের মুরগিই মিলছে না বাজারে। কিছু কিছু স্থানে অল্প মুরগির দেখা মিললেও দাম হাঁকছেন চড়া।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মুরগির সংকটের কারণে মাছের বাজারেও এর প্রভাব পরেছে।

বিভিন্ন জাতের মাছ কেজি প্রতি বেড়েছে ১ শ থেকে ১৫০ টাকা।

আজ রোববার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে ঝালকাঠির বাজারগুলোতে কোনো ধরনের মুরগিই পাওয়া যাচ্ছে না। মুরগি কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পাইকারদের কাছ থেকে ব্রয়লার মুরগি কিনতে হচ্ছে ১৯৫ টাকা কেজি দরে। তাই নির্ধারিত দামে মুরগি কিনতে না পারায় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারের দোকানগুলোতে কোনো মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া লেয়ার ও সোনালী মুরগিও নির্ধারিত দামে কিনতে না পারায় বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রশাসনের নির্ধারণ করা দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আপাতত তাই মুরগি বিক্রি করতে নারাজ তারা।

এদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্রয়লার মুরগি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাজারে মুরগি বিক্রি বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। মুরগি কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককেই। বাজারের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পাড়লে দেখা দিতে পারে ভয়াবহরূপ। তাই দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মুরগির খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। এদিকে, শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে তাদের।

ঝালকাঠি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, খামারি পর্যায়ে উৎপাদন খরচ পর্যালোচনা করে খুচরা বাজারে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এর মধ্যে মুরগির দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামেই পণ্য বিক্রি করতে হবে। এর বেশি দামে বিক্রি করলে ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা পরিদর্শক।

news24bd.tv/SHS