ক্রমশ কমছে রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম

ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ (ছবি: সংগৃহীত)

যোগাযোগ খাত

ক্রমশ কমছে রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম

দেলোয়ার হোসেন লিটু

দেশের সবচেয়ে জনবহুল ও ব্যস্ততম নগরী ঢাকা। স্বাধীনতার পর সময় যত গড়িয়েছে রাজধানী ঢাকায় মানুষের চাপ তত বেড়েছে। বাড়তি মানুষ, গণপরিবহন আর ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ সামলাতে শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ বেড়েছে বহুগুণ। তবে সরকারের বেশকিছু যুগান্তকারী উদ্যোগে সহনীয় হয়েছে রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম।

মেট্রোরেলের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানজট থেকে অনেকটাই মুক্তি দিয়েছে জনগণকে। এখন খুব কম সময়ে রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে পারছে নগরবাসী।

যানজটকে বিবেচনায় নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালেই গণপরিবহনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর জন্য স্বস্তির দুই উপহার হয়ে এসেছে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

এই দুই অবকাঠামো কীভাবে ঢাকার চেহারা বদলে দিয়েছে, তা এখন সবার জানা। ঢাকায় পর্যায়ক্রমে দূর হচ্ছে যানজট। রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে নগরজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ছয় ধাপে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর ঢাকা ও এর আশপাশ মিলিয়ে ছয়টি রুটে চলবে মেট্রোরেল। উড়াল ও পাতাল রেলপথ মিলিয়ে ছয়টি ধাপে মেট্রোরেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমআরটি লাইন-১ থেকে এমআরটি লাইন-৬ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও শহরতলীতে হবে এই মেট্রোরেলগুলো। গত বছরের ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের মেট্রোর যাত্রা শুরু হয়।

এদিকে বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এই পথের দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে র‌্যাম্প রয়েছে ১৫টি। র‌্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে বেশ কয়েকটি র্যা ম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের এই সাফল্য উদযাপন করতে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে উদ্বোধনী সুধী সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, উড়াল সড়কে কাওলা-ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যাতায়াত করা যাবে মাত্র ১০ থেকে ১১ মিনিটে।  

এসব উন্নয়নের কারণে এসব রুটে ট্রাফিক জ্যাম অনেকটাই কমে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য রুটে ট্রাফিকের অনিয়ম সমাধানেও সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার বিভিন্ন সময় আইন পাস করেছে, জরিমানা বা শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে। তবে জনগণের সদিচ্ছার অভাবে পুরোপুরি পরিবর্তন আনা কষ্টসাধ্য হচ্ছে। তবুও ট্রাফিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি, আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তিপ্রদান নিশ্চিত করা, চালক, পথচারী ও জন সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি সাধিত হবে।  

ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যত উদ্যোগ

২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস হতে ই-ট্রাফিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পজ মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন দায়ের এবং ইউ ক্যাশের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের প্রক্রিয়াটি সফলভাবে শুরু করে। ইতোপূর্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন ব্যবস্থায় POS (Point Over Service) ডিভাইসের মাধ্যমে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয়, যা সরাসরি অনলাইন সার্ভার ডাটাবেজে এন্ট্রি হয়।  

কেস স্লিপ প্রিন্টপূর্বক ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক/মালিককে সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা হচ্ছে। ট্রাফিক অফিসে না এসে চালক/মালিক ওই কেস স্লিপে আরোপিত জরিমানা ইউ-ক্যাশ/ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। জরিমানা পরিশোধ করার পর সংশ্লিষ্ট মালিকের ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে জব্দকৃত ডকুমেন্টস পাঠানো হচ্ছে। এতে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে গাড়ি চালক/মালিকের শ্রমঘণ্টা লাঘব হওয়ার পাশাপাশি জনভোগান্তি বহুলাংশে হ্রাস পাচ্ছে এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও যানজট নিরসনে অধিক সময় কাজ করতে পারছে।

ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার কারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) এর আওতায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএমপি। এই প্রজেক্টের তিনটি আউটপুট রয়েছে। সেফটি এডুকেশন, ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট এনালাইসিস ও ট্রাফিক ইনফো্সমেন্ট বাস্তবায়ন করা।

আগামীতে মেট্রোরেলের চাকাকে গোটা ঢাকা শহরে ঘোরানোসহ ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী কিছু শহর ও উপশহরেও নিয়ে যেতে কাজ শুরু করেছে ডিএমটিসিএল। রাজধানীর সঙ্গে আশপাশের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে আরও পাঁচটি মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এতে বাদ যাবে না ৫২ বাজার ৫৩ গোলি খ্যাত পুরান ঢাকাও। উড়ালে-পাতালে আমুল বদলে যাওয়া বাংলাদেশ যোগযোগ অবকাঠামোতে রীতিমতো বিপ্লব এনেছে।

যানজট নিরসনে এআই প্রযুক্তি
 
প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের জীবনযাত্রার মান আরও সহজ করেছে। এআই আসার পর এ প্রযুক্তি নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। যানজট নিরসনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। বাংলাদেশও শিগগিরই এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ যাতে স্বয়ংক্রিয় মামলা দিতে পারে, সে উদ্দেশ্যে এআই’র ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে এই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হতে পারে। রাস্তায় এআই প্রযুক্তি সংবলিত স্পিড গান ব্যবহার করা হতে পারে, যা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় মামলা চলে যাবে, মালিক অথবা গাড়ি চালকের কাছে।

সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে সরকার কাজ করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছিলেন, ঢাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হবে। আর এ জন্য দক্ষিণ সিটির ৫৩টি সিগন্যালে অবকাঠামো নির্মাণ হবে। গত বছরের ১৬ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে এক অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেন, হাত তোলা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও ঢাকা মেগাসিটি কখনই সঠিক দিশা খুঁজে পায়নি। কিন্তু সে করালগ্রাস আমরা ভেঙে দিতে চাই। ৫৩টি চৌরাস্তায় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত স্থাপনের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে।

রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ 

সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হুট করে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশ বেড়ে যায়। ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয় পুরো নগরবাসীকে। রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনে রাস্তায় নানা কর্মসূচির কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপানায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম অনেকটা কমে যাবে।   

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যত প্রকল্প

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুতে, ২০০৯ সালে রাজধানীর ৭০টি স্থানে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হয়। এরপর ২০১৪ সালে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫টি ট্রাফিক সিগন্যাল ইন্টারসেকশনে টাইমার কাউন্টডাউন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক ৩৫টি স্থানে বসানোও হয়। সেসব এখন কেবলই স্মৃতি, ব্যর্থতার ইতিহাস। রাজধানী ঢাকার সড়ক সংযোগগুলোতে মোট ট্রাফিক সিগন্যাল আছে ১১০টি। দুই একটি বাদে বাকি সব চলছে হাতের ইশারায়। সড়কে আরও আছে ৫৫০টির মতো স্থান, যেখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা হাত নেড়ে গাড়ি চলা ও থামার সংকেত দেন। সব মিলিয়ে এই সাড়ে ছয় শতাধিক স্থানে দায়িত্ব পালন করেন অন্তত ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য।

২০১০-১১ অর্থবছরে ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস)’ নামে আরেকটি প্রকল্প নেয় সিটি করপোরেশন। তখন প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত সরঞ্জাম কেনা হয়। ২০১৫ সালে কাকলী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১১টি পয়েন্টে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু চালুর পরেই তীব্র যানজটে পুরো ঢাকা স্থবির হয়ে পড়ে।

২০১২ সালে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়ে ‘আধা স্বয়ংক্রিয়’ ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয় কেইস প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে গত সাত বছরে নগরের বিভিন্ন স্থানে ৩২টি নতুন সংকেত বাতি বসানো হয়। তা নিয়ন্ত্রণ করা জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হাতে দেওয়া হয়েছে রিমোট কন্ট্রোল। যে সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকবে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা সেখানে সবুজ বাতি জ্বালাবেন, অন্য সড়কে তখন লাল বাতি জ্বলবে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্পও কোনো কাজে আসেনি। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, এই ৩২টি সিগন্যাল বাতি স্থাপন ও বিদ্যমান বাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

আরও কিছু উদ্যোগের প্রত্যাশা

ট্রাফিক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাফিক এরফোর্সমেন্টের পুরো কাজ জনে জনে হাত তুলে গাড়ি থামিয়ে করতে হয়। বিষয়টা যদি অটোমেশনে থাকতো, তাহলে এত সময় দেয়া লাগতো না। কেউ যদি সিগনাল লাইট লঙ্ঘন করতো তাহলে অটোমেটিক গাড়ির নাম্বার প্লেট স্ক্যান করে সব তথ্য ওই ব্যক্তিকে এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হতো। এত মানুষের পেঁছনে দৌড়াতে হতো না। পুরোপুরি অটোমেশনে গেলে ট্রাফিক পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।  

রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয় উল্লেখ করে ট্রাফিক বিভাগের আরেক কর্মকর্তা বলেন, যখনই কেউ আইন ভাঙেন, তখন তার নিজের এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা আসে না। তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে পরিচিত সরকারি কর্মকর্তা, কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার শরণাপন্ন হন। যা মাঠে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাঠে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে এসব বিষয়ে অনেকটা আতঙ্ক বিরাজ করে। তারপরও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখে। এগুলো দূর হলে যানজট কমিয়ে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও সুশৃঙ্খল হবে।  

news24bd.tv/আইএএম

সম্পর্কিত খবর