ইসরায়লের বড় শহরগুলোতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। গত শনিবার থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি এই বিক্ষোভে অংশ নেন। জানা গেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে অনেক ইসরায়েলি ক্ষুব্ধ রয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, সব ব্যর্থতার দায় নেতানিয়াহুর। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
গাই গিনাত নামক এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমাদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এই সরকারের পদত্যাগ চাই আমরা। আমাদের দেশটা হবে মানুষের, একদল স্বৈরশাসকের নয়।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই সরকারের নীতির কারণেই গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করে আনা যাচ্ছেনা বলে মত প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে রোববার (১৭ মার্চ) নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেছেন, ‘যতই আন্তর্জাতিক চাপ আসুক, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। যুদ্ধের লক্ষ্য এখন সব জিম্মিকে মুক্ত করে আনা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়ে ওঠে। এর জন্য আমরা রাফায় অভিযান চালাব। ’
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান এবং মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিবদমান পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নতুন একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করতেই কাতারে গেছে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল।
news24bd.tv/এসসি