মালয়েশিয়ায় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

মালয়েশিয়ায় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী

অনলাইন ডেস্ক

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

রোববার দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম পর্বে রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত হাইকমিশনে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

বিকালে হাইকমিশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘Prisoner's Dairy’ থেকে পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত।

এ দিন উপলক্ষে জাতির পিতার ওপর আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। হাইকমিশনার ও তার সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলুন উড়ানো হয়।

হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন। শৈশব থেকেই শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দৃশ্যমান অকৃত্রিম ভালোবাসা পরিণত বয়সে তা মহান নেতার রাজনৈতিক দর্শন মানুষের প্রতি ভালোবাসার মধ্যদিয়ে কীভাবে প্রতিফলিত হয়, তার ওপর হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আলোকপাত করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: মালদ্বীপে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উদযাপন

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিশিষ্ট নেতারা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার অতিথিদের নিয়ে ইফতার করেন।

news24bd.tv/ab