৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিক উদ্ধার

জাহাজ

৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিক উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার না হলেও ভারতীয় নৌবাহিনীর ছিনতাইকারীর কবল থেকে একটি জাহাজ উদ্ধার করেছে। প্রায় ৪০ ঘণ্টার অভিযানে জাহাজের ১৭ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সোমালিয়ার ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে।  

শনিবার (১৭ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানে ধোপে টিকতে না পারে এমভি রুয়েন নামের ছিনতাই হওয়া ওই জাহাজের দস্যুরা আত্মসমর্পণের পর নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। জিম্মি করা এই জাহাজ নিয়েই তারা সাগরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, গত সপ্তাহে ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহকে ছিনতাই কাজেও এমভি রুয়েনকে কাজে লাগানো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশের আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজকে অপহরণের চেষ্টা করে জলদস্যুরা।

ভারতীয় নৌবাহিনী এ খবর পেয়ে দস্যুদের ধরার জন্য অভিযান শুরু করে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এই অভিযানে আড়াই হাজারের বেশি কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় এবং এমভি রুয়েনকে কোণঠাসা করে ফেলে।

আইএনএস ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধ জাহাজ, ড্রোন, বিমান ও মেরিন কমান্ডোদের যুক্ত করা হয়।

একটি ভারতীয় বিমান এমভি রুয়েনের কাছে গেলে জলদস্যুরা বিমান লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। নৌবাহিনীর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে এক সশস্ত্র জলদস্যুকে জাহাজের ডেকের উপর হাঁটতে দেখা যায়। জাহাজের ওপর টহল দেওয়ার সময় বিমানের দিকে বন্দুক তাক করে দুই দফায় গুলি করে।

ভারতের নৌ বাহিনীর অভিযান শুরু হয় শুক্রবার থেকে। অপহৃত জাহাজকে ধাওয়া করে আইএনএস কলকাতা। এমভি রুয়েনকে আটকাতে গেলেই ক্রমাগত গুলিবর্ষণ করতে থাকে জলদস্যুরা। তারা নৌ বাহিনীর একটি জাহাজে হামলা চালিয়ে বসে।

নৌবাহিনী আত্মরক্ষায় তার অবস্থান পরিবর্তন করে এবং জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। শনিবার যুক্ত করা হয় টহল জাহাজ আইএনএস সুভদ্রা, হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং সামুদ্রিক টহল বিমান।

এরপরই সফলভাবে সফলভাবে এমভি রুয়েনের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারতীয় নৌবাহিনী। জলদস্যুদের আটক করতে ও ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মেরিন কমান্ডোর চৌকস একটি স্কোয়াডকে সি-১৭ বিমানের মাধ্যমে জাহাজে নামানো হয়।

news24bd.tv/আইএএম