যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু টানেল

বঙ্গবন্ধু টানেল

যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ

মো. ইস্রাফিল আলম

আনোয়ারা থেকে শাহ আমানত সেতু হয়ে সড়কপথে চট্টগ্রাম শহরে আসতে এক সময় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন সেই পথ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হয়ে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই থেকে আড়াই মিনিট। এই টানেল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমিয়েছে অন্তত ৪০ কিলোমিটার। এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু টানেলের গুরুত্ব।

গর্বের বিষয় হলো, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত এটিই প্রথম টানেল। এখানে ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশ। তবে এই সেতু এমনি এমনি তৈরি হয়নি। এর পেছনে ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ়তা আর উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন।
সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়েই আজকের বঙ্গবন্ধু টানেল।  

প্রতিশ্রুতি পূরণ

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামকে ঘিরে নানামুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। চট্টগ্রামকে পিছিয়ে রেখে সমগ্র দেশের উন্নয়ন যে সম্ভব হবে না তা তিনি খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করেছিলেন। পরে টানা ক্ষমাতায় থেকে শেখ হাসিনা সরকার ধাপে ধাপে চট্টগ্রামে নানা প্রকল্পের মধ্যে এগিয়ে নেন বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজ। যদিও এই পথ পাড়ি দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য খুব বেশি সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্রে বারবার হোঁচট খেলেও ইস্পাত দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনি এগিয়ে গেছেন। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুড়ঙ্গ পথটির উদ্বোধন করেন ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর।

শুরুর কথা

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপরই বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে উদ্যোগ নেন জাতির জনকের কন্যা। সেতু কর্তৃপক্ষ এ জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা স্মারক সই হয়। টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালের জুনে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কনস্ট্রাকশন কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের উত্তর টিউবের (পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারামুখী) খননকাজ (বোরিং) উদ্বোধন করেন। এর কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ২ আগস্ট। এরপর দ্বিতীয় টিউবের (আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গামুখী) খননকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর। উদ্বোধন করেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খননকাজ সম্পন্ন হয় ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর। ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করেন।

একনজরে টানেল

বঙ্গবন্ধু টানেলের মোট দৈর্ঘ্য  ৯.৩৯ কিলোমিটার। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩১৫ কি. মি., এপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫.৩৫ কি. মি., এটি দুই লেনের ডুয়েল টানেল। এটিতে প্রবেশপথ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কাছে, কর্ণফুলী নদীর ভাটির দিকে নেভি কলেজের কাছে। আনোয়ারা প্রান্তে সার কারখানার কাছে এর বহির্গমন পথ। (সূত্র: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য এবং সেতু বিভাগের ওয়েবসাইট) 

খরচ 

বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ২০২০ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারিসহ কয়েক দফায় পেছায় প্রকল্প শেষের সময়। সাথে বাড়ে ব্যয়ও। প্রাথমিকভাবে যেটা সাড়ে ৮ হাজার কোটির কিছুটা কম ছিল, সেটা বেড়ে হয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দেয়। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করে।

রক্ষণাবেক্ষণ

চীনের চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টানেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫ বছরের জন্য চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।  

অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা

টানেলের ভেতর অত্যাধুনিক ফায়ার সিস্টেম রয়েছে। পুরো টানেল মনিটরিংয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সেখান থেকে টানেলের ভেতর কী হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। টানেলের ভেতর অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে তা কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে।

নিরাপত্তা

টানেলে নিরাপত্তায় ১০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। টানেলে চলাচলকারী গাড়ির গতিবেগ প্রথম দিকে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি হবে না। পায়ে হেঁটে টানেল পার হওয়া যাবে না। একইভাবে মোটরসাইকেল এবং তিন চাকার যানবাহনও চলাচল করবে না টানেল দিয়ে। নির্ধারিত ওজনের বেশি ভারী যানবাহন এ টানেল দিয়ে চলতে দেওয়া হবে না। এ জন্য টানেলের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে ওজন স্কেল। পরিমাপের পর বেশি হলে ওই যানবাহনকে পার হতে দেওয়া হয় না।

সার্ভিস এরিয়া

টানের প্রকল্পের ভেতরেই ‘সার্ভিস এরিয়া’ নামের একটি বিশেষ অংশ রয়েছে। সেখানে ৩০টি বাংলো, একটি ভিআইপি বাংলো, মোটেল মেস, হেলথ সেন্টার, মাঠ, টেনিস কোর্ট, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিং পুল, মসজিদ, হেলিপ্যাডের স্থান রয়েছে।  

টোল

টানেলের আয়ের প্রধান এবং একমাত্র উৎস যানবাহনের টোল। টানেলের পারাপারের জন্য যানবাহনের ১২টি শ্রেণি ও টোল হার নির্ধারণ করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাইভেট কারের টোল ২০০, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা। ৩১ বা তার চেয়ে কম আসনের বাসের টোল ৩০০ টাকা। এর চেয়ে বেশি আসনের বাসের জন্য ৪০০ টাকা। তিন এক্সেলের বাসের জন্য ৫০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ টন পর্যন্ত ট্রাকের টোল ৪০০ টাকা। পাঁচ থেকে আট টন পর্যন্ত ট্রাকের টোল ৫০০, আট থেকে ১১ টন পর্যন্ত ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা। অন্যদিকে, তিন এক্সেলের ট্রাক/ট্রেইলারের টোল ধরা হয়েছে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রাক/ট্রেইলারের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা। চার এক্সেলের বেশি হলে এক্সেলপ্রতি আরও ২০০ টাকা টোল দিতে হবে। গত ২৯ অক্টোবর টানেলে যানবাহন চলাচল শুর হয়। এর পর এক মাসে টানেল থেকে টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে টানেলের প্রথম মাসের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হয় ৭১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

টানেলের সুবিধা

বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে ঢাকার যানবাহনগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট হয়ে বন্দর টোল রোডের সঙ্গে নির্মিত আউটার রিং রোড-পতেঙ্গা হয়ে কর্ণফুলী টানেল ব্যবহারের ফলে চট্টগ্রামের দিকে পথ কমেছে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। তা ছাড়া কর্ণফুলী টানেল হয়ে আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ঘাট-চাতরি চৌমুহনী-বাঁশখালী-পেকুয়ার মগনামা হয়ে সরাসরি কক্সবাজার সদরে যুক্ত হওয়ায় কক্সবাজারের দিকে সড়ক কমেছে আরও প্রায় ৩০ কিলোমিটার। চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ টানেল নির্মাণ করেছে সরকার। শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর প্রভাব দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ছাড়াও পর্যটন নগর কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সেতুবন্ধ তৈরি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি)।  

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সূত্র জানায়, এই টানেলকে আধেয় করে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে গার্মেন্টস, জাহাজ নির্মাণ, ভোজ্যতেল, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্টসহ অন্তত ১০০ শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনও শুরু করেছে। চায়না ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি অন্তত ১৫ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়। কোরিয়ান ইপিজেডেও শুরু হয়েছে নতুন ৪টি কারখানার কাজ। টানেল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সাদ মুছা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্র বলছে, কর্ণফুলী টানেল দিয়ে প্রথম বছরেই ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে। এই চাপ সামলাতে হবে সংযোগ সড়কগুলোকে। শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়কটি সরাসরি কোনো বিভাগীয় সদরকে সংযুক্ত না করলেও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। একটি জাতীয় মহাসড়ক, একটি আঞ্চলিক সড়ক ও কর্ণফুলী টানেল হয়ে এটি চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর ও টেকনাফ স্থল বন্দরের সাথে যুক্ত হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল হয়ে যে সড়ক কক্সবাজার যাবে তা কোনো একসময় মিয়ানমার হয়ে প্রসারিত হবে চীনের কুনমিং সিটি পর্যন্ত। মহাপরিকল্পনার আওতায় চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ হাব।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ও বন্দরনগরী থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে মিরসরাইয়ে ৩৩ হাজার ৮০৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। এটি উপকূল বরাবর মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে টানেলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভটি পরে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এটি সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ এলাকার শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

গত অক্টোবরে বেপজার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মিরসরাই অর্থনীতিক অঞ্চলে ১৫২ প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার ২৭১ দশমিক ৪৭ একর জমি ইজারা দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ প্রতিষ্ঠান ৪১০ একর জমিতে কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এক দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইতোমধ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫২ হাজার ২৩৮ জনের। ইজারা চুক্তির মাধ্যমে নিবন্ধিত ১৫২ প্রতিষ্ঠানের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার ও কর্মসংস্থান হবে সাত লাখ ৭৫ হাজার ২২৮ জনের।

২০৩০ সালের মধ্যে এই জোনে ৫৩৯ প্লট বরাদ্দ শেষে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে মোট বিনিয়োগ আরও কয়েকগুণ বাড়বে। সরাসরি কর্মস্থান হবে ১৫ লাখের বেশি মানুষের।

এ ছাড়া কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাশে আড়াই হাজার একর জমিতে কোরিয়ান ইপিজেডের ৩৮ কারখানা এ টানেলের সুবিধা পাবে। এখন কোরিয়ান ইপিজেড প্রতি বছর দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।  

কোরিয়ান ইপিজেডের পাশেই চায়না ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন। ২০১৬ সালে আনোয়ারায় ৭৫৩ একর জমিতে এটি উদ্বোধন করা হলেও ভূমি উন্নয়নের কাজ চলছে। বেপজার তথ্য অনুসারে, এ জোনটিতে ৩৭১ কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে, যা ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পাশাপাশি ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।

ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্ন ধরেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু স্বপ্নেই সীমাবদ্ধ নন তিনি, স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথ্য-প্রযুক্তিসহ অবকাঠামোগত নানা দিকের উন্নয়নে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু টালেন তার সেই স্বপ্নের ফসলগুলোর একটি; যা ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ গোটা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি।

news24bd.tv/আইএএম