মোটরসাইকেল চোর ও জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য আটক

সংগৃহীত ছবি

মোটরসাইকেল চোর ও জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য আটক

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মোটরসাইকেল চোর এবং ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল এবং ইঞ্জিন-চেসিস নম্বর পরিবর্তনে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-বাঙ্গড্ডা গ্রামের দক্ষিণপাড়া বোম্বাই বাড়ির সাইদ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০), গান্দাচি পূর্বপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে পার্শ্ববর্তী উত্তর মাহিনী হাজি বাড়ির মৃত আনা মিয়ার ছেলে সফি উল্লাহ (৩২), করের ভোমরা মুন্সি বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৭) ও নূরপুর দক্ষিণ পাড়া হাজি বাড়ির ছালেহ আহম্মদের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (২৭)। আটকৃতদের কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার সকালে নাঙ্গলকোট থানা হল রুমে প্রেস ব্রিফিং করেন অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা পরিদর্শক তদন্ত সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব উপদেষ্টা আবুল কাশেম গাফুরি, সভাপতি এ.এফ.এম শোয়াইব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক বারি উদ্দিন আহম্মেদ বাবর, সাংগঠনিক সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, সদস্য সাইফুল ইসলাম, মুহিবুল ইসলাম, সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, হুমায়ুন কবির প্রমুখ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় একটি চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয় ধারায় মামলা করা হয়।

নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ওই গ্রামের জহিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তনকালে হাতেনাতে জহিরুল ইসলাম ও চক্রের অপর সদস্য উত্তর মাহিনী হাজি বাড়ির মৃত আনা মিয়ার ছেলে সফি উল্লাহকে আটক করে।

তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইয়ামাহা এফজেড এস ভার্সন-২ ও ১২ ইঞ্চি লম্বা একটি লোহার রেঞ্চ, একটি প্লাস, মোটরসাইকেল ইঞ্জিন ও ৯টি চেসিস নম্বর পরিবর্তনে ব্যবহৃত লোহার ডাইছ উদ্ধার করে।

এসময় আটককৃতরা স্বীকার করেন, তারা-সহ আরো কয়েকজন মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাইকৃত মোটরসাইকেল বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রয় করে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছে এবং তাদের কাছে আরো চোরাই মোটরসাইকেল মজুদ রয়েছে। পরে আটককৃতদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে চক্রের অন্য দুই সদস্য করের ভোমরা গ্রামের শাহাদাত হোসেনকে আটক করে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বাজাজ বি-১৫ নামের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার ও নুরপুর দক্ষিণ পাড়ার জিয়াউল হক জিয়াকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি এফ জেড ভার্সন ৩ মোটরসাইকেল এবং ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।

news24bd.tv/কেআই