লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, এটি হলো একাত্মবাদের মূল কথা। আল্লাহ এক এবং তাঁর কোনো শরিক নেই, এ তত্ত্ব স্পষ্ট করা হয়েছে কালেমায়। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হলো জান্নাতের চাবি। এ কালেমা ছাড়া জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না।
হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি ইখলাসের সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ কেউ জিজ্ঞাসা করল, কালেমার ইখলাস (এর আলামত) কী? রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘তাকে হারাম কাজগুলো থেকে বাধা প্রদান করে। ’ মুজামুল আওসাত, মুজামুল কাবির, নাওয়াদিরুল উসুল।
‘রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামানায় এক যুবকের ইন্তেকাল হচ্ছিল।
‘একবার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা পাঠ করলেন এবং তাতে তিনি ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি কোনোরূপ ভেজাল না করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। হজরত আলী (রা.) আরজ করলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! এটি বুঝিয়ে দিন যে ভেজাল করার অর্থ কী? তিনি ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মহব্বত এবং তার তালাশে লেগে যাওয়া। বহু লোক এমন আছে যারা কথা বলে নবীগণের মতো; কিন্তু কাজ করে অহংকারী ও অত্যাচারী লোকদের মতো। যদি কেউ এ কলমা উক্তরূপ কোনো কাজ না করে পড়ে তবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। ’ কানজুল উম্মাল, নাওয়াদিরুল উসুল তাফসিরে কুরতুবি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইখলাসের সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কলমায় একাত্ম হওয়ার তৌফিক দান করুন।
লেখক : ইসলাম বিষয়ক গবেষক