দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিএনএমে যোগ দেওয়া না দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ বিষয়ে আজ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এবার এ ঘটনায় মুখ খুললেন মেজর হাফিজ নিজেও।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বনানীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সেখানে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন এখন নিস্তরঙ্গ। সেই নিস্তরঙ্গ আবহাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে একটি ছবি, আমারও ও সাকিব আল হাসানের ছবি। এটি নিয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ পরিবেশন করছে, যাতে করে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার পরিচিত ব্যক্তিরা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা যারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তারা এই বিএনএমে আমাকে যোগ দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেছেন।
এমন সময়েই সাকিব নিজে থেকে বিএনএমে যোগ দিতে আসেন বলে জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা আমার কাছে নিয়ে আসেন সাকিব আল হাসানকে। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাকে বিএনএমের দুজন কর্মকর্তা আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বলেছি রাজনীতি করা তোমার বিষয়, তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা ভেবে দেখো। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এই ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগের।
তিনি আরও বলেন, একটা মিথ্যা কথা রচনা করেছে, এতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। দেশে কত অপকর্ম করে যাচ্ছে সরকার, একতরফা ডামি নির্বাচন করলো, এ ব্যাপারে তো পত্রিকায় কিছু দেখি না। দেশে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট চলছে কয়েক বছর ধরে, এসব নিয়ে কোনো রিপোর্ট দেখি না। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কেন কূলকিনারা হচ্ছে না, তা নিয়েও যেসব পত্রিকা আমার বিষেদাগার করে এখানেও কোনো কিছু দেখি না।
আমার মনে হয়, সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম লুকিয়ে রেখে, জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নিতে আমার বিরুদ্ধে এই বিএনএম সৃষ্টির কাল্পনিক কাহিনীর অবতারণা চালানো হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাই নাই।