বাবা-মায়ের পাশে ‘ঘুমাও তুমি ঘুমাও’

বাবা-মায়ের পাশে ‘ঘুমাও তুমি ঘুমাও’

বাবা-মায়ের পাশে ‘ঘুমাও তুমি ঘুমাও’

‘হয়নি যাবার বেলা’সহ অসংখ্য গানের রূপকার খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহ। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পান্থপথের কমফোর্ট হাসপাতালে মারা গেছেন সোমবার (১৮ মার্চ)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। গোপালগঞ্জে পৌঁছেছে তার নিথর দেহ, চিরনিদ্রায় সেখানে শায়িত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর শহরের এস এম মডেল গভ. হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে গেটপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

জানাজার আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহসিন উদ্দিন এবং মৃতের বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান এ গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

জানাজায় ইমামতি করেন জেলা কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফিজুর রহমান। এতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এর আগে, ভোর ৪টায় শিল্পীর মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায়। তার আগে সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন শিল্পী খালিদ হোসেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, আশি ও নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন খালিদ। তিনি ‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ছিলেন। ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’–এর মতো বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খালিদ। গোপালগঞ্জে তার জন্ম। সোনালি দিনের এই শিল্পী ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন।

news24bd.tv/aa