খোলা আকাশের নিচ থেকে সুপারশপ হয়ে ড্রয়িং বা বেডরুমে বাজার

বাজারের চার চিত্র- বাঁ থেকে গ্রামের বটতলার হাট, কাওরান বাজার, সুপার শপ ও অনলাইনে কেনাকাটা

বাজার বদলের চিত্র

খোলা আকাশের নিচ থেকে সুপারশপ হয়ে ড্রয়িং বা বেডরুমে বাজার

দেবদুলাল মুন্না

এক. বাজারে নিয়ে যেতে চাইতেন আমার পিতা। তিনি কৃষক ছিলেন। তার ধারণা ছিল যেটি বড়ো হয়ে বুঝেছি, সেটি ছিল, বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম কেমন সেটা বুঝতে পারব। টাকা কিভাবে খরচ করতে হয় সেটা শিখব।

 সেজন্য বাজারে যেতাম। বাজারে যাওয়াটা ছিল আনন্দের। সেই ছোটবেলার বাজারের মাছের ঘ্রাণ, শাকসবজির রং যেন এখনো লেগে আছে স্মৃতিতে। ( আমার পিতার মুখ : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ) 

দুই. এখন কোনো  হ্যাপা নেই, বাজারে গিয়ে বেঁছে বেঁছে সবজি আর তরকারী কেনার ঝামেলা নেই, মাছ-মাংসের বাজারে গিয়ে মাছের পানি ছিটে আসা আর মাংসের হাড্ডি ছুটে আসার গা ঘিনঘিনে অসহ্যতা নেই! দর কষাকষির ঝামেলা নেই।

এখন ঘরে বসেই আমি সব করতে পারি। বাজার ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করাটা। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই। বাজার করার তাড়া নেই। ঘরেই যেন গোটা বাজার। তবে ডায়াবেটিসটা বাড়ছে। বাড়ছে রক্তচাপ। ( নিহান , সামহোয়্যার ব্লগ)  

চিত্রটা এখন অনেকটা এ রকম, খোলা আকাশের নিচ থেকে  সুপারশপ হয়ে বাজার ঢুকে পড়েছে সোজা ড্রয়িং বা বেডরুমে ।

ঢাকার কাপ্তান বাজারে সব পাওয়া যায়।  মেগাশপের মতো। কিন্তু খোলা। অনেকগুলো দোকান মিলে একটা বাজার। বাজারটি ১৯৪০ এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রথমে মূলত ঠাটারী বাজারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পরে অনেক জাহাজ সদরঘাটে অবস্থান করার সময় জাহাজগুলোর ক্যাপ্টেনরা এই গলিতে কেনাকাটা করতে আসতেন এবং সেখান থেকেই এটি কাপ্তান (captain) বাজার নামে পরিচিতি লাভ করে। আগে ঠাঠারিবাজারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন আলাদা। এদিকে রাজধানীতে কারওয়ান বাজার। প্রায় দিনরাত্রি খোলা যেন। সবই পাওয়া যায়। কিন্তু মেগাশপগুলো খোলা থাকে না দিনরাত্রি।  

এই যে বাস্তবের বাজার সেটি এখনও আছে। পাশাপাশি প্রসারিত হচ্ছে অনলাইনের বাজার। এখন মেগাশপও আছে। আছে আগের কাঁচাবাজারও।  মেগামপে গেলেই সব কিনতে পাওয়া যায়। টাকা বা কার্ড ঘষলেই পেমেন্ট শেষ। ট্রলি থেকে জিনিস ব্যাগে ভরে বাসায় রওয়ানা। কাঁচাবাজারের বাজারের ভারি ব্যাগ টানার কামলাও আছে। তবে যতো সময় যাচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটার দিকে ঝুঁকছে মানুষ। চালডাল থেকে সবই পাওয়া যায়।  

শুরু যেভাবে 

ইন্টারনেটভিত্তিক এই বাজারে শাড়ি, থ্রিপিস, শার্ট, পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে জুতা, ঘড়ি, গয়না, টুপি, আতর, জায়নামাজ সবই পাওয়া যাচ্ছে। দোকান বা শপিং মলে যেভাবে পরখ করে পছন্দের পণ্যটি কেনা হয়, ঠিক সেভাবে অনলাইন শপে ঢুকে ছবি বা দাম দেখে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া হয়। অনলাইন শপিং উদ্যোক্তারাও এতে লাভবান হচ্ছেন। ঈদ সামনে রেখে এসব অনলাইন মার্কেটের বেচাকেনা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
   
বাংলাদেশে অন-লাইনে কেনাবেচার শুরু মূলত ২০১১ সাল থেকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনএসপিবি) চালু করলে ব্যাংকের মাধ্যমে অন-লাইনে মূল্য পরিশোধের পদ্ধতিটি চালু হয়।

দেশে অনলাইনে ব্যবসার আকার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দেশে এখন প্রায় দুই হাজার ই-কমার্স সাইট এবং ৫০ হাজার ফেইসবুক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন দেশের মধ্যে ডেলিভারি হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার পণ্য।

একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী গতবছর অক্টোবরে একটি সমীক্ষা চালান। দেশের অন-লাইন বাজারের হাল হকিকত বুঝতে ১০৬ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তারা।

উত্তরদাতাদের ৮০ শতাংশ মনে করেন, অনলাইন কেনাকাটায় সময় বাঁচে। আবার ৬০ শতাংশ বলেছেন, সব দিক হিসাব করলে অন-লাইন কেনাকাটায় সময় বেশি খরচ হয়, আর এটা ঝুকিপূর্ণও বটে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই মনে করেন, অন-লাইনে কেনাবেঁচা একটি নতুন কনসেপ্ট এবং গ্রাহকের সুবিধার জন্য পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ানো প্রয়োজন।
মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূল থেকে শুরু চাল, ডাল, কাপড়, প্রসাধনী, আসবাবপণ্য, বই, ইলেকট্রনিক পণ্য, গয়না এমনকি মোটর গাড়িও এখন অন-লাইনে বিক্রি হচ্ছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনলাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পোশাক, প্রসাধনী ও গয়না। মাছ, মাংস আর সবজির মত কাঁচা পণ্যের বিক্রি সবচেয়ে কম।       
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, বাংলাদেশে মূলত তারাই অন-লাইনে পণ্যের প্রধান ক্রেতা।

অন-লাইনে পণ্য বিক্রি করে এরকম ৮১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জরিপকারী শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়েছেন, একটি মাত্র পণ্য বিক্রি করেন- এমন ওয়েবসাইটের বিক্রি ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন- তাদের বিক্রি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
অন-লাইন পণ্যের ক্রেতাদের একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ক্রেতাদের ৪০ শতাংশের মাসিক আয় ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।

অন-লাইন ক্রেতারা মনে করেন:
 ৫৫.৭% উত্তরদাতা মনে করেন যে, এর ফলে যানজট এড়ানো যায়।
 ৫২.৮% মনে করেন, এর ফলে সময় বাঁচে।
 ৪১.৯% মনে করেন, অনলাইনে অনেক পণ্যের মধ্যে একটি বেছে নেওয়া সহজ হয়।
 ২৫.২% শতাংশ বলেছেন, বাজারে গিয়ে পণ্য কিনতে যে যাতায়াত খরচ হয়, তার চেয়ে ডেলিভারি চার্জ কম পড়ে।

৫৩.৫% উত্তরদাতা বলেছেন, অনলাইনে কেনা পণ্যের মান নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
 ৪৭.৬% বলেছেন, পণ্য হাতে পেতে সময় বেশি লাগে।
৪১.৬% উত্তরদাতা মনে করেন, মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি এখনও যথেষ্ট ক্রেতাবান্ধব হয়নি।  

অনলাইনে আয়

বর্তমানে ই-কমার্স বাজারের আকার বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। গড়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার ক্রেতা অনলাইনে পণ্যের অর্ডার দেন। ১৩ থেকে ১৫ লাখ মানুষ বছরে একবার হলেও অনলাইনে অর্ডার করেন। সারা দেশে অনলাইন শপিং ছড়িয়ে দেওয়ার আরও একটি বড় বাধা হচ্ছে ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য। বাংলাদেশে শহর আর গ্রামে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের খরচ ও সহজলভ্যতার মধ্যে ‘আকাশ–পাতাল’ বৈষম্য। আমরা যারা বড় শহরে থাকি, তারা খুব কম খরচে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি, সেটি কম্পিউটারে হোক বা ওয়াই–ফাই দিয়ে মোবাইল ফোনে। কিন্তু বড় শহরের বাইরে কার্যত কোনো ব্রডব্যান্ড সেবা নেই! সেই জায়গাগুলোতে ইন্টারনেট মানে একমাত্র টু–জি বা থ্রি–জি (ফোর–জি বেশির ভাগ জায়গায় পৌঁছেনি)। সমস্যা হচ্ছে, মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীদের খরচ হয় ‘ডেটা’তে, যত বেশি ওয়েবসাইট দেখা তত বেশি খরচ। দেশে টু–জি বা থ্রি–জি নেটওয়ার্কের ডেটা খরচ এতটাই বেশি যে অনেক মানুষের হাতে স্মার্টফোন থাকলেও তারা ইন্টারনেট নিয়মিত ব্যবহার করেন না ডেটা খরচের ভয়ে! অনলাইন কেনাকাটার সাইট বা অ্যাপে যেহেতু পণ্যের অনেক ছবি থাকে, তাই এগুলো দেখতে অনেক ডেটা খরচ হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই

দেশে অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং মান নিয়ন্ত্রণে নজরদারির অভাবে থেকে যাচ্ছে।

এ খাতকে নিয়মের মধ্যে আনতে সরকার ২০১৮ সালে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’ করলেও ই-কমার্স বা ডিজিটাল কমার্সের জন্য কোনো নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। একটি অনলাইন শপিং এর হেড অব পাবলিক বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় অনেক সময় ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের দ্বিধায় পড়তে হয়- তারা কার কথা শুনবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় না আইসিটি মন্ত্রণালয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকলে উভয়পক্ষেই স্বচ্ছতা রাখা সহজ হবে, যা ই-কমার্স শিল্পকে ভবিষ্যতে আরও জোরদার করবে। ”

অনলাইন কেনাকাটার বাঁধা 

অনলাইন কেনাকাটা প্রসারের ক্ষেত্রে প্রথম বাধা পণ্য পরিবহন। পণ্য উৎপাদন করা হোক বা আমদানি—সবকিছুই মূলত ঢাকাতেই হয়। অনলাইনে কোনো পণ্যের অর্ডার হলে ঢাকায় তা সেদিন বা পরের দিন পৌঁছে দেওয়া যায়। কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে অর্ডার দিলে ৭ থেকে ১০ দিন লেগে যায় ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে। এর প্রধান কারণ, আমাদের দেশে এখনো ই-কমার্সভিত্তিক লজিস্টিকস বা পরিবহন কোম্পানি গড়ে ওঠেনি। ফলে বিভাগীয় ও উন্নত শহর ছাড়া এ ব্যবসা করা যাচ্ছে না। গ্রাম পর্যায়ে এখনও পৌঁছায়নি অনলাইনের বাজার।  

আছে সমাধানের পথ 

ডিজিট্যাল দুনিয়ায় যারা কাজ করছেন তাদের অনেকেই মনে করছেন, দেশের ডাকঘরগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কুরিয়ার সার্ভিসকেও আরও তৎপর করা যেতে পারে।

রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব

গত কয়েক বছরে হাজার হাজার উদ্যোক্তা অনলাইন শপিং বা ই-কমার্স ব্যবসায় প্রবেশ করেছেন। যেকোনো ব্যবসার মতো এখানেও ‘ভালো-মন্দ’ দুই ধরনের লোকই আছে। দুঃখজনক হলো, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফেসবুকে তাদের পেজ খুলে ব্যবসা শুরু করে কাস্টমারদের প্রতারিত করছে। এই সংখ্যা সীমিত হলেও ক্রেতারা একবার যদি প্রতারিত হয় বা তাদের পরিচিত কেউ একবার খারাপ অভিজ্ঞতা পায়, তাহলে তারা অনলাইন কেনাকাটার ওপর থেকেই সামগ্রিকভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলে। ক্রেতারা বলছেন এভাবে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে।  

কয়েকটি সতর্কতা

কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সেটির বানান ও ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতারক চক্র অনেক সময়ই বিখ্যাত, প্রতিষ্ঠিত কোনো অনলাইনের ওয়েবসাইটের হুবহু প্রতিরূপ তৈরি করে। কখনো বানানে সামান্য পরিবর্তন এনে, কখনো ডিজাইনে।

এ ছাড়া ওয়েব অ্যাড্রেস 'http' এর সঙ্গে 's' না থাকলে অর্থাৎ 'https' না থাকলে সেই ওয়েবসাইটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আরও একটি বিষয় হচ্ছে, ওয়েবসাইটটির একটি পূর্ণ ডোমেইন নেইম থাকবে, অর্থাৎ (WWW.) এর পরে কোনো একটি নাম এবং শেষে (.COM) থাকবে। ওয়েবসাইটটি কোনো র্যা নডম নম্বর দিয়ে শুরু হবে না।

পণ্য যাচাই-বাছাই

অনলাইনে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ আছে কি না সেটি লক্ষ্য করতে হবে। পণ্যের মাপ, ওজন, ম্যাটেরিয়ালস ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হয়ে তারপর পণ্যটি অর্ডার করা ভালো। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি আছে কি না, থাকলে সেটা কেমন এবং গ্রাহকবান্ধব কি না, সেটিও যাচাই করে নেওয়া উচিত।

প্রোডাক্ট রিভিউ

অনলাইনে যেখান থেকেই পণ্য কেনা হোক না কেন, কেনার আগে রিভিউ দেখে নিতে হবে। তবে অনেক সময় ফেক রিভিউও থাকে। সেগুলোও যাচাই বাছাই করতে হবে। যদি রিভিউ ইতিবাচক থাকে তবেই পণ্যটি অর্ডার করা যায়।  

পেমেন্ট মেথড

অনলাইন কেনা-কাটায় ক্ষেত্রে অগ্রিম পেমেন্ট বোঝা জরুরি।  সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি অর্ডারটি 'ক্যাশ অন ডেলিভারি'র সুবিধা আছে কি না দেখে নিন। সেটা থাকলে ভালো। পণ্য হাতে পেয়ে দেখে-শুনে দাম পরিশোধ করলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

প্রচলিত আইনে শাস্তি 

সরকারি নিয়ম অনুসারে অনলাইন কেনাকাটায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি ও প্রতারণায় সংশ্লিষ্টদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’-এ অনলাইন কেনাকাটায় কোনটি ভোক্তার অধিকার আর কোনটি প্রতারণা সে বিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে। এ ছাড়াও গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সময়সীমা, অগ্রিম মূল্য পরিশোধ, মার্কেটপ্লেসে পণ্য/সেবা উপস্থাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া আছে। ‘দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর ৪২০ ধারায়’ প্রতারণার ক্ষেত্রে থানায় এজাহার করে মামলা করা অথবা আদালতে সরাসরি মামলার বিষয়ে বলা আছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই আইনে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তি ‘দ্য সেলস অব গুডস অ্যাক্ট-১৯৩০’ অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ করতে পারেন। ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’ অনুযায়ী ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করলে বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

news24bd.tv/ডিডি