রংধনুর রফিকের দুর্নীতি তদন্তের আবেদন দুদকের বিবেচনায়

হাইকোর্ট

রংধনুর রফিকের দুর্নীতি তদন্তের আবেদন দুদকের বিবেচনায়

অনলাইন ডেস্ক

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তের জন্য করা আবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী শাহীন আহমেদ।  

এটা জানার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি মুলতবি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ামিন নেওয়াজ খান ও একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর শামস গত ২৬ নভেম্বর ‘রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি, বিক্রিত জমির দলিল বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন দেন। এ আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকেও দিয়েছেন তিনি।

এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ‍যুক্ত করা হয়।

আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রংধনু গ্রুপের কর্ণধার রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে মানুষের সাথে যে প্রতারণা করেছেন, অনিয়ম করেছেন, জাল জালিয়াতি করেছেন- এই মর্মে একটি মানবাধিকার সংগঠনের চিফ অ্যাডভাইজর ড. সুফি সাগর শামস দুদকে একটি আবেদন দেন বিষয়গুলো তদন্তের জন্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেছেন। শুনানিতে দুদক বলেছে- আমাদের এক মাস সময় দেন। আবেদনটি তাদের কনসিডারে (বিবেচনায়) আছে। কোর্ট তখন আফটার ভ্যাকেশন (রমজান ও ঈদের ছুটির পর) শুনানির জন্য রেখেছেন।

দুদকের আইনজীবী শাহীন আহমেদ জানান, একটি মানবাধিকার সংগঠন এ রিটটি করেছে। তাদের পক্ষ থেকে দুদকের কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন ৯ নম্বর বিবাদীর (রফিকুল ইসলাম) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে/তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এখন রিটে এসে বলছে- দুদক কোনো কাজ করছে না, তাই তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না। আমি বলেছি যে, এটা দুদকের আন্ডার কনসিডারেশনে (বিবেচনাধীন) আছে। দুদক এটার ওপর কাজ করছে। আগে দুদকের আপডেট জেনে নিই। এটা স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। ভ্যাকেশনের পরে তারিখ রাখেন। তার আগে আপডেটটা কোর্টকে জানাবো। কোর্ট তখন স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন। আমাকে আপডেট জানাতে বলেছেন। আমি অলরেডি এ বিষয়ে দুদককে চিঠি দিয়েছি।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টলিজেন্স ইউনিট), ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি, ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংকের এমডি এবং রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামকে।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক