পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হাতের কব্জি কর্তন

হাসপাতালে আহত যুবক

পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে হাতের কব্জি কর্তন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধুর দায়ের কোপে আরেক বন্ধুর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত বন্ধু শরিফুল ইসলামকে (৩৬) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের সরাইচন্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শরিফুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ মঞ্জু ও রুবেল নামে দুজনকে আটকের পর মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

আহত শরিফুলের ছোট ভাই মেরাজুল ইসলাম ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সরাইচন্ডি গ্রামের মৃত সাইফ‚ল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম এবং একই গ্রামের জেল হোসেনের ছেলে সুজন ও মহবুল হোসেনের ছেলে সুজন তিনজন বন্ধু। সুজন ও আলহাজ্ব দুজন মিলে শরিফুলের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে প্রায় ২ লাখ টাকা ধার নেয়। পরে শরিফুল জানতে পারে সুজন ও আলহাজ্ব ইয়াবা ব্যবসায় করছে।

টাকা ফেরত চাইলে ৫ হাজার ১০ হাজার করে ধার পরিশোধ শুরু করেন। কিন্তু শরিফুল পুরো টাকা ফেরত চাইলে তিনজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সড়াইচন্ডি নতুন বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সড়াইচন্ডি শুকনা নদীর কাছে সুজন, আলহাজ্ব, মঞ্জু, সাইদুল ইসলাম, আলপি, রুবেল ও মনিসহ কয়েকজন রামদা ও রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শরিফুলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের দায়ের কোপে শরিফুলের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিচ্ছিন্ন কব্জিসহ গুরুতর অবস্থায় শরিফুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসরা কব্জি সংযোগে অপারগতা প্রকাশ করলে পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর আল মানার হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সুজন ও আলহাজ্বসহ ৭জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই দানিউল হক জানান, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শরিফুলের হাতের কব্জি কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ও মঙ্গলবার ভোররাতে এজাহার নামীয় মঞ্জু ও রুবেলকে আটক করা হয়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ