অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের মায়েরা

অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের মায়েরা

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনি মা ও শিশুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সোমবার জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান ‘ডমিনিক অ্যালেন’ গাজা পরিদর্শনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘ বলেছে, ‘চিকিৎসকরা গাজা উপত্যকায় আর স্বাভাবিক আকারের বাচ্চা দেখতে পাচ্ছেন না। ’

ডমিনিক অ্যালেনের ভাষায়, গাজার অমানবিক পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি মায়েদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে এবং তারা ছোট আকারের ও অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন।

‘ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ক্ষুধা ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত ১৮০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন। মায়েরা অপুষ্টিতে আক্রান্ত এবং সুবিধা বঞ্চিত থাকার কারণে উল্লেখযোগ্য শিশু মৃত জন্মগ্রহণ করে অথবা জন্মগ্রহণের পরপরই মারা যায়’, উল্লেখ করেন তিনি।

ইউএনএফপিএ’র সহায়তার বিশেষ চালান গাজায় পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের তীব্র নিন্দা জানান জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, আমি গাজায় যা দেখেছি তা মানবিক সংকটের চেয়েও বড় দুঃস্বপ্ন, এটি একটি ‘মানবতার সংকট।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে গাজা উপত্যকা এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল।

এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায়  বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র তৈরি করা হয়।

১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক