সেহেরির পরেই নারী-শিশুদের চিরঘুমে পাঠালো ইসরায়েল!

সেহেরির পরের নারী-শিশুদের ঘুমকেই চিরঘুমে পরিণম করলো ইসরায়েল!

সেহেরির পরেই নারী-শিশুদের চিরঘুমে পাঠালো ইসরায়েল!

অনলাইন ডেস্ক

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। আহতদের দেইর আল-বালাহ এলাকায় অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি। খবর আল-জাজিরার।

গাজায় গত কয়েকদিন ধরে বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওই বাড়ির মালিকের এক স্বজন বলেন, এটা আমার ভাইয়ের বাড়ি। দুর্ভাগ্যবশত, নারী, শিশু এবং অনেক প্রতিবেশীরা এখানে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তারা সেহরি খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়ই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এর আগে অবরুদ্ধ গাজা উপ্যতকা ও মিশরীয় সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সৈন্যরা। এতে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহর ও গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে রাফাহ শহরে চালানো হামলায় ১৪ জন নিহত হন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে অবিরাম হামলা অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।

news24bd.tv/aa