নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের দুই কারণ জানালেন মঈন খান

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের দুই কারণ জানালেন মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচন প্রমাণ করে গণতান্ত্রিক আর কোন নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। মেজর হাফিজের ঘটনায় সরকার ফায়দা লুটতে চাইলেও বুমেরাং হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের জন্য।

বুধবার (২০ মার্চ) সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে সহিংসতার অভিযোগে আটক আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলের বাসায় তার পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে এসব বলেন মঈন খান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচনে দুটো বিষয় প্রমাণিত হয়েছে।

প্রথমটা হলো দেশে গণতান্ত্রিক আর কোনো নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। দেশে ভিন্ন মতকে অবস্থান না দেয়ারই পরিণাম।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র হরণ করতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

প্রশাসন বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছে। লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ জুডিশিয়ারি রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভকেই ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।

মঈন খান আরও বলেন, সরকার জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছে, তাড়াহুড়ো করে শপথ নিয়েছে, মন্ত্রীসভা করেছে- সবই ক্ষমতা হারানোর ভয় থেকে। সর্বগ্রাসী সরকার শুধু রাজনীতি নয়, প্রতিটি স্তর প্রতিটি বিষয় গ্রাস করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিকে বিভাজিত করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। অন্যায়ভাবে যারা সবকিছু দখল করে তারা ভয়ে থাকে। প্রশাসন বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল করেছে। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার একটিই কারণ- ক্ষমতা ধরে রাখা।

সাম্প্রতিক বিষয়ে মঈন খান আরও বলেন, মেজর হাফিজের ঘটনা নিয়ে সরকার ফায়দা লুটতে চাইলেও পারেনি। সরকার কিভাবে বিরোধী দলগুলোকে কবজা করার চেষ্টা করেছে হাফিজ আহমদের ঘটনা তার একটি প্রমাণ। সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তৈরির অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ পেয়েছে।

সরকার যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঘটনা তার বড় প্রমাণ জানিয়ে মঈন বলেন, জাতি যখন ধ্বংসের পথে যায় আর কি ঘটতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মধ্য দিয়ে জাতিকে ধ্বংসের নীতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

news24bd.tv/FA