ইসলামের সেবায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্মিত একটি মডেল মসজিদ

ইসলামের সেবায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা

মো. ইস্রাফিল আলম

২০২২ সালের ডিজিটাল জনশুমারি অনুসারে, বাংলাদেশে ৯২ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এ দেশে ইসলাম বিকাশের একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। স্বাধীন দেশে ইসলামের জন্য অবদানের প্রথম পদক্ষেপ নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইসলামি আদর্শ চর্চায় বঙ্গবন্ধু
 
১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক।

২৮ মার্চ ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ অ্যাক্ট প্রণীত হয়। ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধ লালন ও চর্চা এবং এই আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই ফাউন্ডেশন মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।  ইসলামী মূলোবোধ ও নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর ওআইসি সম্মেলনে যোগদান 

বঙ্গবন্ধু মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অধিবেশনে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়েই বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের স্থান করে নেন। ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করে ইসলাম ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু মুসলিম নেতাদের সামনে বক্তব্য তুলে ধরেন।

কাকরাইলের মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ

বঙ্গবন্ধুর আমলে তাবলিগ জামাতের মারকাজ বা কেন্দ্র নামে পরিচিত কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ করে রমনা পার্কের অনেকখানি জায়গার প্রয়োজন যখন দেখা দিল, তখন তিনি নির্দ্বিধায় কাকরাইল মসজিদকে জমি দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করে দেন।

আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন 

 ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন করেন এবং এ যুদ্ধে বাংলাদেশ তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখার চেষ্টা করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থনে ১ লাখ পাউন্ড চা, ২৮ সদস্যের মেডিকেল টিমসহ একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী পাঠানো হয়।

বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারি অর্থে পরিচালিত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে নন্দিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি বিভাগ, ৭টি প্রকল্প, ১টি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মাঠপর্যায়ে ৮টি বিভাগীয়সহ ৬৪টি জেলা কার্যালয় এবং আর্তমানবতার সেবায় ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২০২৩ অনুয়ায়ী, এই অর্থবছরে ফাউন্ডেশন শিশু কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা ও ৪৯০টি উপজেলায় অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা হয়েছে ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলা ও ৪৯০টি উপজেলায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সব জেলায় ১টি করে মোট ৬৪টি ও সকল উপজেলায় ১টি করে ৪৯০টি আলোচনা সভা করেছ। কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করেছে। এ ধরনের আরও বহু জাতীয় কর্মসূচির আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এছাড়া মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, ইমামদের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজনসহ বহুবিধ কর্মসূচি পালন করেছে ফাউন্ডেশন।  

বিশ্ব ইজতেমার সরকারি জায়গা বরাদ্দ

বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সামাধান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদীর তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে।

শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৫৬৮ মডেল মসজিদ

মসজিদ আল্লাহর ঘর ও মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র এবং তা প্রত্যেক মুসলমানের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ এবং মসজিদ সংরক্ষণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন কথাও বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করে দেবেন। (সূত্র: ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তথা মসজিদ স্থাপন করছেন। ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত ৩০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন তিনি। ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়ে মসজিদ নির্মাণের এ কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।

সারাদেশে তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায়। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। ১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার আয়তনের ‘বি’ ক্যাটারির মসজিদ হচ্ছে ৪৭৫টি। এগুলো নির্মিত হচ্ছে উপজেলায়। আর ২০৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের ‘সি’ ক্যাটাগরির মসজিদ ১৬টি উপকূলীয় এলাকায়। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। এ সব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন চার লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সংবলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ-আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং-সুবিধা রাখা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে— ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা, কটিয়াদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, নরসিংদীর সদর উপজেলা, মনোহরদি, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা, জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার ধুনট উপজেলা, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, পাবনার ভাঙ্গুরা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুরের সদর উপজেলা, পিরোজপুরে সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকশা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর জেলা সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ জেলা সদর এবং জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা।

‘কওমি জননী’ শেখ হাসিনা

২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস হয় জাতীয় সংসদে। এর ফলে কওমি মাদ্রাসার লাখো শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের স্বীকৃতি পান দেশে। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ১০১৮ সালের ৪ নভেম্বর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন এক মাহফিলে শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দেন।  

সেদিন মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সবকিছু উপেক্ষা করে। অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তার জবাব দিয়েছেন। ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি (শেখ হাসিনা) পালন করেছেন। আজকে কওমি মহাসমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। ’ এর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কওমি জননী স্বীকৃতিটা বেশ সর্বমহলে বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়

দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। জাতীয় তথ্য বাতায়ন বলছে, দেশ স্বাধীনের পর ধর্ম বিষয়ক কার্যক্রম প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর এ মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ছিল। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮০ সালে সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (Ministry of Religious Affairs) একটি পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ৮ মার্চ, ১৯৮৪ সালে মন্ত্রণালয়টির নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs and Endowment. পরে ১৪ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে এর নাম পরিবর্তন করে পুনরায় নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs তথা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

১৯৮০ সালে কার্যক্রম শুরুর পর হতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, হজ অফিস ঢাকা, হজ অফিস, জেদ্দা/ মক্কা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে সরকারের ধর্ম বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনাসহ দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের মনিটরিং ও সমন্বয় করছে।
 
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সার্বজনিন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এ মন্ত্রণালয়। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সমাজ বিনিমার্ণ; হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন; ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সহায়তা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বদা দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শেষ কথা

ইসলামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতাসহ ধর্মীয় সব আচার-আচরণ, মসজিদ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে নানান ইসলামি অনুষ্ঠানের স্থানগুলো আরও সুন্দর করার চেষ্টা করেছেন। নির্মাণ করেছেন অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ধর্মের জন্যে অনেক সুদূর প্রসারী কাজ করেছেন। মডেল মসজিদ, ইসলামি পাঠাগার, মাদ্রাসা ইত্যাদি নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

news24bd.tv/আইএএম