পাকিস্তানের গাদার বন্দরে হামলা, নিহত ৮ সন্ত্রাসী

গাদার বন্দরে সন্ত্রাসীদের হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে আটজন সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের গাদার বন্দরে হামলা, নিহত ৮ সন্ত্রাসী

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের গাদার বন্দরে সন্ত্রাসীদের হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে আটজন সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ মার্চ) গাদার বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা ঢুকতে চাইলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং দুই ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। খবর আল জাজিরার।

গাদার বন্দর চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের একটি অংশ।

এটি সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প।

পাকিস্তান সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ উমরানি জানান, সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর দুইজন সদস্য আহত হয়েছেন। অভিযান সম্পন্ন হয়েছে তবে এলাকাটিতে এখনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রয়েছে।

এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় বেলুচিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জানান, সহিংসতার আশ্রয় নিলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

নিরাপত্তা বাহিনীর যেসকল সদস্য আজ সাহসের সাথে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র শাখা মাজিদ ব্রিগেড হামলার দায় স্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটি পাকিস্তান থেকে বেলুচিস্তানকে আলাদা করতে চায়।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, বন্দরের ভেতরে অবস্থিত পাকিস্তানের গোয়সেন্দা বাহিনীর কার্যালয়ে আমরা হামলা চালাতে চেয়েছিলাম। আমরা হামলার দায় স্বীকার করছি এবং যথাসময়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, বিকেল চারটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে দুটি বিস্ফোরনের শব্দ পাওয়া যায় এবং কিছুক্ষণ পর ভারী গোলাগুলির আওয়াজ আসতে থাকতে। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলেছে।

যেখানে হামলা চালানো হয়েছিল সেখানে মূলত বন্দরের শ্রমিকরা বসবাস করে। তবে কিছু সরকারি দপ্তরও সেখানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রত্যক্ষদর্শী।

আরও পড়ুন: আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৯০ জন নিহত

গাদার বন্দরে আক্রমণের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। শহরটিতে প্রচুর চীনা নাগরিক বসবাস করেন যারা বন্দরটির নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত।

গত বছরের আগস্টে ২৩ জন চীনা নাগরিককে বহনকারী একটি গাড়িবহরের ওপর মাজিদ ব্রিগেডের দুইজন সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছিল। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি তবে আক্রমণকারীদের হত্যা করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে শহরটির সবচেয়ে অভিজাত হোটেলে হামলা চালিয়েছিলো বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির তিনজন যোদ্ধা। এই হামলায় পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন।

news24bd.tv/ab