মুখ্যমন্ত্রী থাকাবস্থায় কেজরিওয়ালের আগে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন?

গ্রেপ্তারের পর গাড়ির পিছনের আসনে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (সাদা জামা পরিহিত)

মুখ্যমন্ত্রী থাকাবস্থায় কেজরিওয়ালের আগে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন?

অনলাইন ডেস্ক

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে ভারতের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেজরিওয়ালই ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হলেন।

এর আগে, অবিভক্ত বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের একদিন আগেই নিজে পদত্যাগ করে স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও গ্রেপ্তার হয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার সামান্য কিছুক্ষণ আগে রাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

তবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পরেও তার দল আম আদমি পার্টি বলছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।

দলের নেত্রী ও মন্ত্রী আতিশী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অরবিন্দজী দরকার হলে জেল থেকে সরকার চালাবেন।

তিনি আগেও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, এখনও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। ’

তিনি আরও জানান, দলীয় আইনজীবীরা চেষ্টা করছেন সুপ্রিম কোর্টে রাতেই আবেদন করতে, যাতে জরুরি শুনানি করে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার খারিজ করা যায়। আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তবে কাজ হয়নি।  

জানা গেছে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার দিনে শুনানি হবে।

এদিকে, কংগ্রেসসহ ভারতের প্রায় সব বিজেপি বিরোধী দলই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের মূল বক্তব্য লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে একজন বিরোধী দলীয় মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা আসলে বিজেপির এক রাজনৈতিক চক্রান্ত।

তবে আবগারি নীতি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তারের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি।

দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দিল্লির প্রতিটি নাগরিক সন্তুষ্ট, দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার হওয়া মানে দুর্নীতির পরাজয়। তার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। ’  

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক